বার্সেলোনার স্মৃতিচারণায় অপরাজিতা আঢ্য, মেসি-ম্যাজিকে আবেগঘন বার্তা সামাজিক মাধ্যমে

তিনি বাংলার অন্যতম ওজনদার অভিনেত্রী। বলা বাহুল্য, শুধু অভিনয়েই নয়, নাচের দক্ষতা দিয়েও তিনি জয় করেছেন সংস্কৃতি-মহলকে। তিনি, অপরাজিতা আঢ্য। ‘প্রাক্তন’ ছবির দরুন ‘ফিল্মফেয়ার’ পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর সংলাপ যেন, মানুষের জীবনের চলার পথের পাথেয় হয়ে উঠেছে। ১৯৯৮ সালে স্বপন সাহা পরিচালিত, ‘শিমুল পারুল’ অপরাজিতা আঢ্যর জীবনের সেই সোনার কাঠির ছোঁয়া, যার মাধ্যমে তাঁর অভিষেক হয় রুপোলি জগতে।

Aparajita Adhya

সময়ের স্রোতে এই বহমান জীবনের রজত জয়ন্তী পালন হয়ে গেছে অভিনেত্রী হিসেবে অপরাজিতার। পঁচিশ বছর ধরে ইন্ড্রাস্ট্রিতে তিনি বিভিন্ন অবতারে মুগ্ধ করে আসছেন। কখনও দায়িত্ববাণ বৌমা, কখনও রক্ষণশীল পরিবারের বাধ্য মেয়ে, কখনও বা মানসিক ভারসাম্যহীনের ভূমিকায় তিনি সত্যিই হয়ে উঠেছেন ‘সুপারস্টার’। তাঁর মত বহুমুখী প্রতিভা সত্যিই বিশেষ প্রশংসার যোগ্য।

Aparajita Adhya

এই মুহূর্তে তিনি এখন সবার প্রিয় ‘লক্ষ্মী কাকিমা’। জি বাংলার ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপাস্টার’ এ এক সর্বগুণসম্পন্না গৃহিণীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয়তার পরিচয় দেন অভিনেত্রী। কখনও নৃত্যের তালে তাল মিলিয়ে. কখনও তাঁর অনুগামীদের, লক্ষ্মীমন্ত রূপে বাড়ির পুজোয় একা হাতে সমস্ত আয়োজন করার মুহূর্তের সাক্ষী করে, কখনও বা আধুনিক মোড়কে সামিল হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে, আর্জেন্টিনা বনাম ক্রোয়েশিয়ার রোমহর্ষক লড়াইয়ে, মেসি-ম্যাজিকে আপ্লুত হয়ে অভিনেত্রী আবেগঘন হয়ে পড়েন।

অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন স্পেনের বার্সেলোনার বিখ্যাত স্টেডিয়াম, ক্যাম্প নুয়ের নিয়মিত দর্শক ছিলেন, সেসব দিনের কথা তাঁর মনের মণিকোঠায় স্মৃতির আসর থেকে চোখের সামনে ভেসে উঠছে। বুধবারের খেলায়, মেসির অতিমানবীয় ‘অ্যাসিস্ট’ যেন তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে বার্সেলোনার নানা রঙের দিনগুলিতে। যখন তাঁর চোখের সামনে গড়ে উঠত মেসি-পুয়ল্-পিকে-ইনিয়েস্তার মত যাদুকরদের লাল নীল সংসারের ধাপগুলি। উড়ন্ত বল নিয়ে মেসি একের পর এক চমক দেখিয়ে যেতেন। সারা স্টেডিয়াম ‘হুররে’ র মত জয়ধ্বনিতে শঙ্খনিনাদের মত ফেটে পড়ত। অভিনেত্রীর কথায়, ভগবানের আশীর্বাদ না থাকলে মেসি হয়ে ওঠা যায় না।

Mesi

অভিনেত্রীর স্মৃতি রোমন্থনে যোগ দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। ফুটবলের রাজপুত্র মেসিকে নিয়েও তাঁদের উন্মাদনার শেষ নেই। উল্লেখ্য, ‘মেশিন অফ ১৯৮৭’ অর্থাৎ সকলের প্রিয় ‘লিও’, এই বছরই শেষ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তাঁর অবসর ঘোষনার কথা নিশ্চিত করেছেন।

Scroll to Top