এখনকার সময়ে প্রায় প্রত্যেকেই আমরা ইয়ারবাড ব্যবহার করি। বিভিন্ন কোম্পানির ইয়ারবাড বাজারে পাওয়া যায়। এমনকি সস্তার ইয়ারবাড ও বাজারে পাওয়া যায়। তার যুক্ত ইয়ারফোন ছেড়ে বহু দিন আগেই মানুষ ব্লুটুথ ইয়ারফোন এবং ইয়ার বাডে অভ্যস্ত হয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কয়েক মাস বা কিছুদিন ব্যবহার করার পরই ইয়ার বাড খারাপ হয়ে যায় এবং সেটি আর সারাই করা যায় না। ফলস্বরূপ আমাদের নতুন করে আবার একটি ইয়ার বাড কিনতে হয়। তবে বেশ কয়েকটি বিষয় মেনে চললে আপনার ইয়ার বাডটি বহুদিন পর্যন্ত চলবে। পাশাপাশি আপনারা অনেক টাকা সাশ্রয় করে ফেলতে পারবেন।
ইয়ার বাড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেমন:
১. ইয়ার বাডে কখনোই সর্বোচ্চ আওয়াজ দিয়ে গান শুনবেন না। এতে করে এর স্পিকারটি বহুদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। পাশাপাশি সাউন্ড কোয়ালিটি ও থাকবে আগের মতই।
২. ইয়ার বাড যতটা পারবেন কম ব্যবহার করুন। কারণ সারাদিন ধরে ইয়ারবাড ব্যবহার করলে এটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। বেশি ব্যবহার করলে এটি গরম হয়ে যেতে পারে এবং এর আয়ু কমে যেতে পারে।
৩. যে সমস্ত ইয়ার বাডে নয়েজ ক্যান্সেলিং ফিচার উপলব্ধ রয়েছে, শুধুমাত্র সেই সমস্ত ইয়ারবাড গুলি ব্যবহার করুন। এই ধরনের ইয়ারবাড গুলি আওয়াজকে স্পষ্ট করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সাউন্ড কোয়ালিটিও ভালো করে দেয়।
৪. সময়মতো ইয়ারবাড পরিষ্কার করার প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় যে বহুদিন ধরে পরিষ্কার না করার জন্য এটির গায়ে ময়লা জমে এবং সাউন্ড কোয়ালিটি দিনে দিনে খারাপ হয়ে যায়।
৫. ইয়ার বাড কখনোই জলের সংস্পর্শে আসতে দেবেন না। এটিতে যতই বলা হোক ওয়াটার প্রুফ, জল ঢোকার সম্ভাবনা থাকলেও থেকে যেতে পারে। এবং এটি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই জন্য বৃষ্টিতে বেরোলে এটি ব্যবহার না করাই ভালো