পেলের ভুল ছবি পোস্ট করায় তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন মধুমিতা! কেন ঘটিয়েছিলেন এমন কাণ্ড?

ফুটবল ইতিহাসের একজন জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড ছিলেন এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্টো, ওরফে পেলে। দীর্ঘদিন কর্কট রোগের সঙ্গে সংগ্রামের পর, সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ব্ল্যাক পার্ল’। শুধু ফুটবল নয়, যেকোনও ক্ষেত্রেই, এক বিশ্বব্যাপী শোকের আবহ তৈরি হয় ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তিনি এমন একজন বিস্ময়, যিনি কেবল একমাত্র তিনবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন তাঁর দেশকে। বলা বাহুল্য, ২০২২ সালেও আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বকাপ। সেই সময়েই পেলের অবস্থার অবনতির খবর পাওয়া যায়। স্বভাবতই ভেঙে পড়েন তাঁর অগণিত বিশ্বব্যাপী অনুরাগীর দল। কিন্তু ফুটবল সম্রাট আশ্বাস দিয়ে বলেন, তিনি ভালো আছেন। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলের ফুটবল সম্রাট হয়েও, তিনি চেয়েছিলেন এই বিশ্বকাপ উঠুক আর্জেন্টাইন রাজকুমার, লিওনেল মেসির হাতে। মেসি বিশ্বকাপ পেলেন… পেলে দু চোখ ভরে দেখলেন ৩৬ বছরের অভিশাপ মুক্ত হওয়া আর্জেন্টাইন উল্লাস। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই, পেলে চলে গেলেন চিরনিদ্রায়।

পেলে

তাঁর দেহাবসানের সংবাদ ছড়িয়ে যেতেই বিশ্ব জুড়ে নেমে আসে শোকের পর্দা। আর যেখানে সামাজিক মাধ্যেমের ভূমিকা সর্বাধিক, সেখানে কেউ বাদ থাকেন না তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা মহল, দলে দলে সামিল হন পেলের আত্মার চিরশান্তি কামনায়। বাদ যায়নি টলিউডও। তাঁরাও তাঁদের মত পেলের ছবি সহযোগে বিদায় জানান কিংবদন্তীকে।

পেলেকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে একটি ভুল করে বসেন টলিউডের অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। অন্যান্যদের মত তিনিও প্রিয় ফুটবল তারকাকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলেন। সেই হিসেবে দুটি ছবি পোস্ট করে ফুটবল কিনবদন্তীটির আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। কিন্তু সেখানে একটি ছবি পেলের হলেও, অপরটি কিন্তু ছিল অন্য ফুটবল তারকার। ব্রাজিলের বছর বাইশের ভিনিসিয়াসের ছবি দিয়ে দেওয়া হয় অসতর্কতাবশত। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় ট্রোলিং, কটূক্তির ঝড়।

ভিনিসিয়াস

মধুমিতা কিছুক্ষণ পর পোস্ট ডিলিট করলেও, বিতর্ক পিছু ছাড়ে না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতা সেদিনকার ‘ভুল’ হওয়ার কারণ জনতার কাছে স্পষ্ট করেন। তিনি জানান, তাঁর সামাজিক মাধ্যম বেশিরভাগ সময়ই তাঁর দলের সহকারীরা নিয়ন্ত্রণ করেন। সেদিনও তিনি তাঁর এক সহকারীকে বলেন পেলের ছবি দিয়ে পোস্ট করার জন্য। কিন্তু সেই সহকারী সেইভাবে দুনিয়ার খবর নিয়ে অবগত না থাকায় ঘটিয়ে বসেন ভুলটি! সেই সময় মধুমিতা উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু যখন তিনি সামাজিক মাধ্যমে আসেন, তখন দেখেন অনেক বড় বিপদ ঘটিয়ে বসেছেন তাঁর ‘হেল্পিং হ্যান্ড’। তাড়াতাড়ি ছবিগুলি ডিলিট করে, ভুল শুধরে নিলেও তাঁকে নিয়ে চর্চার কমতি তো হয়নি, বরং আরও বেড়ে গেছে।

মধুমিতা

সামাজিক মাধ্যম থাকলে, সেখানে মানুষ ওঁত পেতে বসে থাকেন যে ব্যাক্তি আক্রমনের জন্য, সে কথা খুব ভালো করেই জানেন ছোট পর্দার ‘পাখি’। তাই এমন ভুল করলে যে তিনি সহজে নিস্তার পাবেন না সে সম্পর্কেও তিনি অবগত। তবুও তাঁর ক্ষোভ, একজন এত বড় কিংবদন্তীর অন্তিম লগ্নে, কোথায় মানুষ তাঁকে নিয়েই নিমগ্ন থাকবেন, তা না থেকে কেন মধুমিতাকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠলেন! এই উত্তর পাওয়া, সত্যিই দুষ্কর।

মধুমিতা
Scroll to Top