সাড়া দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা, ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা সব্যসাচীর

‘ঝড় এলে তুই, সাথে থাকলে কি ভয়!’ কত কাল্পনিক চরিত্রই নাহ্ ভেবে গীতিকার সুরের জাল বিস্তার করেন! কিন্তু ঐন্দ্রিলার ‘জীবনজ্যোতি’ সব্যসাচীই, ঐন্দ্রিলার জীবনের সেই ‘জিয়নকাঠি’, যিনি থাকলে সকল ঝড়, ‘মিরাকেল’ এ পরিনত হয়!

গত ২ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক নিয়ে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ব্রেনে ছড়িয়েছিল সংক্রমণ। হার মানছিলেন চিকিৎসকেরাও। কিন্তু সব্যসাচী এবং সারা বাংলার মানুষ বিশ্বাস রেখেছিলেন ‘মিরাকেল’ এর প্রতি। দিনরাত এক করে মানুষ ঐন্দ্রিলার সুস্থতার কামনায় উদ্যত হয়েছেন। এমনকি হাসপাতালে পাঠিয়েছেন আশীর্বাদিও। ডাক্তার শেষ বক্তব্য জানান দেওয়ার পরেও, যখন ঐন্দ্রিলার হার্ট রেটের সঙ্গে সব্যসাচীর ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস কমছিল, তখনই ঘটে ‘মিরাকেল’। ঐন্দ্রিলা চিকিৎসায় আস্তে আস্তে সাড়া দিতে শুরু করেন।

Oindrila

গতকাল রাতে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতার সুর ধ্বনিত হয় পর্দার ‘বামদেব’ এর মুখে। যদিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিছু শকুনরুপী মানুষের প্রতি, যাঁরা তাঁদের কার্যসিদ্ধির জন্য ঐন্দ্রিলার খারাপ সময়ে হাসপাতালের নিচে ভিড় করতেন, শুধুমাত্র ‘কনটেন্ট’ বানাবেন বলে। ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সুরের ‘ম্যাজিশিয়ান’ অরিজিৎ সিং। সব্যসাচী তাঁকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সব্যসাচী বলেছিলেন, ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাবেন। এবারের পোস্টের শেষেও তিনি যোগ করেন, ‘ঐন্দ্রিলা আছে, ঐন্দ্রিলা থাকবে। রাখে বড় মা, তো মারে…’।

Scroll to Top