শেষের পথে ‘খড়কুটো’? গুনগুনের অসুস্থতায় ইঙ্গিত কোনদিকে?

‘পরিবার’! এমন এক আশ্বাসী শব্দবন্ধ, যা শুনলেই মনের মধ্যে উদয় হয় এক আনন্দমুখর আবহের ছবি। যেখানে এক ঝাঁক মানুষ, একে অপরের সুখ দুঃখে হাসি মুখে সঙ্গ দেবে, বিবাদ হলেও তার রেশ হবে আপেক্ষিক! দিন শেষে একই ছাদের তলায় সকলের জমায়েতে গোটা বাড়ি প্রাণ পাবে! সেরকমই এক পরিবারের গল্প ছিল স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। মুখার্জী পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম নয়, কিন্তু তাঁদের মধ্যে পারস্পরিকতাও ঠিক ততটাই সুদৃঢ়। একে অপরের খড়কুটো হয়েই তাঁদের আঁকড়ে থাকা। সেখানেই আরও প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তুলতে আবির্ভাব হয়, গুনগুন অর্থাৎ অভিনেত্রী তৃণা সাহার।


ছোট থেকে মায়ের আদর না পাওয়া গুনগুন বোঝেনি ঠিক-ভুলের তফাৎ। বিশৃঙ্খলাই হয়ে ওঠে তাঁর জীবন যাপনের ভিত। কিন্তু সেই গুনগুনও সংসারী হয়ে ওঠে মুখার্জী বাড়ির বউ হওয়ার পর! শুধু তাই নয়, মুখার্জী বাড়ির নয়নের মনি হয়ে ওঠেন তিনি। প্রথম দিকে তাঁদের চিন্তাধারা সমান্তরালে বিরাজ করলেও, এখন সবটাই তাঁদের একই সূত্রে বাঁধা। এই মুখার্জী পরিবার, শুধুই অন স্ক্রিনে বিস্তৃত থাকেনি! ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার কারণে সকলের অন্তরঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই অছেদ্য বনিবনাই ছিল ধারাবাহিকের প্রাণকেন্দ্র। শহরের আনাচে কানাচে প্রতি জায়গায় ছেয়ে গেছিল এই জমাটি পরিবারের রাজ। গুনগুন এবং তাঁর স্বামী সৌজন্যর সঙ্গে পরিবারের প্রতি সদস্য হয়ে উঠেছিলেন প্রত্যেক বাঙালির ঘরের লোক। কিন্তু ইদানিং টলি পাড়ায় কানাঘুঁসো শোনা যাচ্ছে, আগস্ট মাসেই নাকি শেষ হতে চলেছে সকলের প্রিয় এই ধারাবাহিক। যদিও প্রথম দিকে টিআরপি ভালই ছিল, কিন্তু অতিমারীর পরিস্থিতির পর তা কমতে থাকে। বারবার তাই সময়ও পরিবর্তিত হতে থাকে ‘খড়কুটো’র।

খড়কুটো


সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে গুনগুনের ছোট ননদের বিয়ে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার গুনগুনের অসুস্থতাও ফুটে উঠছে। সেই অসুস্থতা নিয়ে ‘খড়কুটো’ প্রেমীরা দুই ভাগে ভাগ হয়েছেন। একদলের গুঞ্জন, গুনগুন কি আবার অন্তঃসত্ত্বা! আর এক দল বলছেন, হয়ত খুব দুঃখের কিছু আসতে চলেছে। সেই কারণেই হয়তো ‘খড়কুটো’ শেষের পথে।
‘খড়কুটো’ প্রেমীরা তাই যারপরনাই ভেঙে পড়েছেন এই ইঙ্গিতে। তবুও তাঁদের মতে, তাঁরা এই ধারাবাহিকত থেকে যতটা পেয়েছেন, তাই অনেক। এক আন্তরিক পরিবারের সঙ্গা পেয়েছেন, দেখেছেন বিপদ এলে কিভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হয়, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে অভিমান হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ইগো পেরিয়েও কিভাবে একজনকে আর একজনের কাছে যেতে হয় এইসব কিছু ‘খড়কুটো’ শিখিয়ে গেছে। এটি শুধু ধারাবাহিক নয়, এটি আবেগ এবং অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকলের জন্য। তাঁরা আশাবাদী, ‘খড়কুটো’র মত মনকে আনন্দ দেওয়া এক ধারাবাহিক, সকলের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থেকে যাবে।

Scroll to Top