১৯৯৮ সালে স্বপন সাহার হাত ধরে তিনি পা রাখেন রুপোলি জগতে। প্রথম ছবি ‘শিমুল পারুল’ এ তাঁর অভিনয় মন জিতে নেয় দর্শকদের। হাওড়ার সেই গুণী মেয়েটিকে, চিনে নেয় টলি সাম্রাজ্য। বছর কুড়ির যুবতী ‘অপা’ তাঁর অভিনয়ের জাদুবলে, আপামর সিনেমাপ্রেমীদের মুগ্ধ করে হয়ে উঠলেন অপরাজিতা আঢ়্য (Aparajita Adhya)। তিনি রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। অভিনয়ের সঙ্গে নৃত্য প্রদর্শনের দিক দিয়েও অনুগামীদের মন্ত্রমু্গ্ধ করে তোলেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। জীবনের অন্যতম বিশেষ এই দিনে, কাছের মানুষদের সঙ্গে মুহুর্ত উদযাপন করতে দেখা গেল ছোট পর্দার সকলের প্রিয় ‘লক্ষ্মী কাকিমা’কে। সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিলেন আনন্দ আয়োজনের মুহুর্ত। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসালো নেট দুনিয়া।

সিনেমা দিয়ে কেরিয়ারের শুভ সূচনা করলেও, ধারাবাহিকের মাধ্যমেই এগিয়েছে অপরাজিতার আরোহনের গ্রাফ। ‘এক আকাশের নিচে’, ‘প্রিয়তমা’, ‘নীল সীমানা’, ‘কুরুক্ষেত্র’, ‘গানের ওপারে’ র মত একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে গেছেন অপরাজিতা। ‘জল নূপুর’ ধারাবাহিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ‘পারি পাগলী’র চরিত্রে অভিনয় করে অপরাজিতা পুনরায় প্রমাণ করেন, জাত অভিনেত্রী কাকে বলে। ‘প্রাক্তন’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি পান ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

গত ২২ তারিখ বেশ ঘরোয়া ভাবে অভিনেত্রীর জন্মদিন পালন করা হলেও, তাঁর একান্ত আপনজনদের উপস্থিতিতে দিনটি আরই রঙিন হয়ে উঠেছিল। ভাত, শুক্ত, ডাল, পাঁচ ভাজার সমাহার, মাছ, চাটনি, পায়েসের মত বিভিন্ন বাঙালি পদে সেজে উঠেছিল ‘বার্থডে গার্ল’ এর জন্মদিনের পাত। অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য অপরাজিতার বিশেষ স্নেহভাজন। প্রায়ই তাঁদের আদুরে মুহুর্ত যাপনের সাক্ষী হন অনুগামীরা। অনেকে আবার তাঁদের মধ্যে মা এবং সন্তানের বন্ধনও খুঁজে পান। প্রিয়াঙ্কা অপরাজিতাকে ডাকেন ‘মামনি’ বলে। তাই ‘মামনি’র বিশেষ দিনে তিনিও উপস্থিত ছিলেন খোশ মেজাজে। কিশোর কুমারের বিখ্যাত গান, ‘জীবন কে দিন’ এ দুজনে একসঙ্গে গলাও মিলিয়েছেন। তাঁদের একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠতে দেখে, অনুরাগীদের উচ্ছ্বাসও প্রকাশ পেয়েছে নেট মাধ্যমে।
