আপনি কী নিয়মিত পেয়ারা খান। জেনে নিন, পেয়ারা আপনার কোনো ক্ষতি করছে না তো?

পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল যা স্বাদেও দারুণ। প্রচুর প্রোটিন গুনে সমৃদ্ধ একটি দুর্দান্ত খাবার পেয়ারা। বিট লবন মাখিয়ে পেয়ারা খাওয়ার কথা শুনলেই জিভে জল আসে অনেকেরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারা খেলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে অনেক মানুষের শরীরের ক্ষেত্রে পেয়ারা উপযোগী নয়। কেননা এতে এমন অনেক যৌগ থাকে, যা অনেক মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারা খাওয়াতে অনেক অসুবিধাও রয়েছে (Harm Of Eating Guava)।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পেয়ারার গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নিন

পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। একটি পেয়ারার পুষ্টিগুণ চারটি কমলা লেবুর সমান। এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দাঁত এবং মাড়ি মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা ফাইবার চর্বি ও প্রোটিন যুক্তি ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারাতে প্রচুর পরিমান পুষ্টি যুক্ত, পুষ্টিগুণের বিচারে পেয়ারার পুষ্টি মান ৪২১ পয়েন্ট। অন্যদিকে ফোলেট এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো কিছু পুষ্টি উপাদান এই ফলে প্রচুর পরিমানে রয়েছে।

কাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়

এত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল হওয়া সত্ত্বেও অনেক সময় পেয়ারা খাওয়ার সময় কিছু মানুষকে সতর্ক হতে হয়। অনেক মানুষ আছেন যাদের পেয়ারা খাওয়া একদমই উচিত নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয় জেনেনিন।

১) যেসব মানুষদের ঠান্ডার ধাত রয়েছে অর্থাৎ বেশিরভাগ সময় সর্দি-কাশিতে ভোগেন তাদের পেয়ারা খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো কেননা পেয়ারা একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল। এটি অত্যাধিক খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি হতে পারে।

২) যে সব মহিলা গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী তাদের পেয়ারা না খাওয়াই ভালো। পেয়ারা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, এতে করে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

৩) যে সমস্ত রোগী ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তাদের এই ফলটি থেকে দূরে থাকাই ভালো। পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন এবং পেয়ারা খেতে চান, তবে তার আগে রক্তের শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে তবেই খাবেন।

নিময় মেনে পেয়ারা খান

পেয়ারা দিনে একবার খাওয়াই ভালো। অধিক পরিমাণে পেয়ারা খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি করতে পারে। পেয়ারা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা বাড়ে এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়।দিনে এক পরিবেশন পেয়ারা খাওয়ার জন্য নিরাপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে দুপুরে খাবারের পর ফল খাওয়াটা। তাই আপনি দুপুরের পর পেয়ারা খেতে পারেন। এছাড়া ওয়ার্কআউটের আগে ও পরে আপনি পেয়ারা খেতে পারেন। তবে রাতে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো, খেলে সর্দি কাশি হতে পারে।

Scroll to Top