প্রায় বছর সাত আটেক আগের কথা। সাল ২০১৫, সারেগামাপার মঞ্চ পেরিয়ে, সারা বিশ্বের বাঙালির মন জয় করে নিয়েছিলেন দুর্নিবার সাহা। বিজয়ী না হলেও রীতিমত জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছিলেন তিনি । দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha), সুদর্শন এবং সুকণ্ঠী এই গায়কের প্রতি মুগ্ধ হয়নি এমন বঙ্গ তনয়ার সংখ্যা নেহাত কম। সেরকমই তাঁর গান শুনে সারেগামার মঞ্চেই মুগ্ধ হয়ে পড়েন শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত থাকা মীনাক্ষী মুখার্জী (Meenakshi Mukherjee)। দীর্ঘদিন প্রণয়ের পর, ২০২১ সালে ধুমধাম করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দুর্নিবার-মীনাক্ষী। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের পরিণতি মোড় নেয় বিচ্ছেদের দিকে। এত বছরের সম্পর্কে, ফাটল ধরে তৃতীয় ব্যাক্তির আগমনে। মীনাক্ষীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে যুক্ত থাকাকালীনই নাকি, দুর্নিবারের সঙ্গে প্রেম হয়, টলিউড সম্রাট প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জীর (Prosenjit Chatterjee) ব্যাক্তিগত সহকারী, ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen) ওরফে মোহরের। সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের জন্য মোহরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন দুর্নিবার। বিবাহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে আসতেই শুরু হয়েছে নব দম্পতিকে নিয়ে কটাক্ষের বন্যা।
গত বছর ধরেই দুর্নিবার মীনাক্ষীর বিচ্ছেদ শিরোনামে ছিল।
প্রথমদিকে তাঁদের মধ্যে দূরত্বের কারণ জানা না গেলেও, পরে তা স্পষ্ট হয়। দুর্নিবার এবং মীনাক্ষীর বিবাহের ভিডিওতে দেখা গেছিল, আবেগপ্রবণ নববধূ মীনাক্ষী, তাঁর বিবাহকে রূপকথার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অনেক নেটিজেন সেখানে কমেন্ট করে জানান, বিবাহ রূপকথা লাগলেও, রাজপুত্তুরটি একেবারেই সুযোগ্য নয়। কেউ বা চোখে আঙুল দিয়ে মীনাক্ষীকে বুঝিয়ে দেন, কঠিন বাস্তবকে রূপকথা ভেবে তিনি কী ভুলটাই না করেছিলেন। তাঁদের বিচ্ছেদের পর দুজনেই স্বীকার করেছেন, সম্পর্কটিতে তাঁরা কেউই সুখী ছিলেন না। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে কেউই আপত্তি প্রকাশ করেননি।
গত বৃহস্পতিবার মহা আড়ম্বরে বিবাহ সংঘটিত হল দুর্নিবার এবং মোহরের। অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জী, মানসী সিংহ, ঋষব বসু, দিতিপ্রিয়া রায়, ঈপ্সিতা মুখার্জীসহ চাঁদের হাট বসেছিল বিবাহের আয়োজন ঘিরে। স্বয়ং প্রসেনজিত চ্যাটার্জী দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছেন নব দম্পতিকে। অভিনেতা সুজয় প্রসাদ নব দম্পতিকে নিয়ে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিতেই ভেসে আসে কটাক্ষের তীর। অভিনেতা কিছুটা সামাল দিতে চাইলেও, নেটিজেনদের রোষ ক্ষান্ত হয়নি। কেউ বলেছেন ‘আবার ডিভোর্স..’ কেউ বা ব্যাঙ্গোক্তি করে বলেছেন ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’। কেউ বা দুর্নিবারের আগাম বিয়ের জন্যও “শুভেচ্ছা” জানিয়েছেন। যদিও সবকটি কমেন্টে অভিনেতা সুজয় প্রসাদকে প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি।