দালালচক্র নিয়ে হুঁশিয়ারি ব্রাত্যের! কি বললেন তিনি? আসুন দেখি।

বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে সবেমাত্র কাল টেটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছে পর্ষদ। এমনিতেই টেট নিয়ে প্রচুর ঘটনা ঘটেছে ও ঘটছে। এর মধ্যেই টেট পরীক্ষার ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেক। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন দালালচক্র নিয়ে! কিন্তু হঠাৎ এতকিছু থাকতে দালালচক্র নিয়ে হুঁশিয়ারি কেন দিলেন তিনি? আর কি বা বললেন? আসুন জানা যাক সবিস্তারে। প্রাইমারি টেটের ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন যে, "প্রাইমারি টেটের উত্তরপত্রের কপি যদি কেউ কোনও দালালকে দেন তাহলে তার দায় পরীক্ষার্থীর। এক্ষেত্রে এর দায় শুধু পরীক্ষার্থী নয়, দালালদের মতো আপনারও।" এভাবেই একরকম হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি চাকরিপ্রার্থীদের! তিনি আরো বলেন যে, "এবারের পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হয়েছে প্রায় ১৪৬০ টি কেন্দ্রে; আমি নিজে কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলাম বিকাশ ভবন থেকে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্রের একটি কপি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সুয়োগ পেয়েছিলেন। পর্ষদ শুধুমাত্র ওএমআর শিটের অরিজিনাল কপি জমা নিয়েছিল। এটাও আমাদের রাজ্যের পরীক্ষা পদ্ধতির ইতিহাসে নজিরবিহীন পদক্ষেপ! একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পর্ষদ উত্তরপত্র বা আনসার কি পর্ষদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছিল যাতে সবাই তা দেখতে পান।এক্ষেত্রে যদি কারও কোনও আপত্তি থাকে তা জানানোরও সুযোগ দিয়েছিল পর্ষদ। প্রথম প্রকাশিত আনসার কি তে ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করে ফের প্রকাশ করা হয় শোধিত আনসার কি! এই ঘটনাও প্রথম ঘটেছে।" কিন্তু এই স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নের কারণ কি? সম্প্রতি তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে বেশকিছু ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে প্রাইমারি টেটের স্বচ্ছতা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরেই এমন হুঁশিয়ারি ব্রাত্য বসুর। তিনি আরো বলেন যে, "এখানে একটা কথা বুঝতে হবে, পর্ষদ পরীক্ষা নিয়েছে এবং আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন। পর্ষদের কাছে একটি উত্তরপত্র রয়েছে ও আপনার কাছে একটি কপি রয়েছে। আপনি যদি সেই কপি কাউকে দেন, কোনও দালালকে বা দুষ্টচক্রকে দেন তাহলে তার দায় সরকারের বা পর্ষদের নয় কোনোভাবেই! পর্ষদ তো বটেই আমিও বলছি কোনও দালাল বা দুষ্টচক্রের ফাঁদে যদি পা দেন তাহলে সেই দালাল বা দুষ্টচক্রের মতো আপনারও সমান অপরাধ। এরকম কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কেবলমাত্র নিজের যোগ্যতা, মেধা ও পরিশ্রমের উপরে আস্থা রাখুন।" তর্কবিতর্ক থাকবেই! এরই মধ্যে ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার ফলাফলের প্রকাশের পরে জানা গেছে যে প্রায় সাত লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিলেও উত্তীর্ণ হয়েছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন অর্থাৎ মোট পরীক্ষার্থীর ২৪.৩১ শতাংশ পরীক্ষায় পাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। বর্ধমানের ইনা সিংহ এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে ১৭৭ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে প্রথম দশ জনের মধ্যে। সকল উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জানাই শুভেচ্ছা ও যাঁরা অসফল হয়েছেন তাঁরা ভেঙে পড়বেন না। অসফলতার মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব এই কথাটি মনে রাখবেন।

Scroll to Top