পলাশ এবং শফিকুল, একে অপরের ‘দোস্তজী’। তাঁদের সম্পর্কের এই একমাত্র এবং অসীম আশ্রয়ের পরিচয়! এমন মিঠেল রোদের মত ঝলমলে, বোধ হয় এই পৃথিবীতে খুব কম সম্পর্কই হয়! কিন্তু বাধ সাধে তাঁদের জাতির ভিন্নতা! একজন হিন্দু, একজন মুসলিম। বাবরি মসজিদ, মুম্বই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামেও তার আঁচ পড়ে। সম্পর্কগুলো সংকীর্ণ হতে থাকে। কিন্তু গ্রামের প্রকৃতির মত উদার এবং সরল দুই বন্ধুর বন্ধন যে সকল সংকোচনের উর্ধ্বে! তাঁদের বন্ধুত্বও ঘুড়ির মত খোলা আকাশে উড়তে থাকে! কিন্তু সেই ঘুড়িও কাটা পড়ে, একসময় হারিয়ে যায়!
এমন বিষাদ নেমে আসবে দুই ছোট্ট প্রজাপতির জীবনেও। তবুও বেঁচে থাকবে ‘দোস্তজী’। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পর এবার প্রসূন চ্যাটার্জী পরিচালিত এই ছবি আসছে মুর্শিদাবাদে। ডোমকলের জ্যোতি সিনেমা হল এবং বহরমপুরের মোহন টকিজে প্রদর্শিত হবে এই ছবি। প্রচার করলেন খোদ ‘মিস্টার ইন্ড্রাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসেনজিৎ আজ তাঁর এই জায়গা পেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গবাসীর মিলিত সমর্থনে। তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ অন্যতম। তাই তিনি এই জেলার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ। তিনি মুর্শিদাবাদবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, পরপর তিনদিন এই ছবি দেখতে যদি মানুষ হল ভর্তি করে আসেন, তাহলে প্রসেনজিৎ নিজে সেখানে গিয়ে তাঁদের একটি বিশেষ উপহার দেবেন।
প্রসেনজিতের আবেদনে উচ্ছ্বসিত মুর্শিদাবাদবাসী। কমেন্ট করে জানিয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই এই ছবিটি দেখবেন, এবং বন্ধুত্বের উদযাপনের মিষ্টি মুহূর্তের অংশীদার হবেন।