রূপকথার হগোয়ার্টস নয়, বস্তবের পৃথিবীও শুন্য ‘হাগ্রিড’ বিয়োগে

‘… এমন কেন সত্যি হয় না আহা!’ নব্বইয়ের দশকের প্রত্যেক শিশুর মনে তখন কেবল এই চাওয়ারই ছয়লাপ। তাঁদের স্বপ্নের পাঠশালা ‘হগোয়ার্টস’। আর সেখানকার নানা রকম স্বপ্নময় আমেজে ভেসে যাওয়া… শাসন, বকুনি, মন খারাপ থাকলেও, ভরসার ছাদও কম ছিল না! আর যদি এমন এক ভরসার ছাদের নাম হয় ‘হাগ্রিড'(Hagrid)! হ্যারির সঙ্গে রুপোলি পর্দার বাইরের যেকোনও শিশুই যেন পেয়েছিল হাগ্রিডের স্নেহের স্পর্শ। তাই তো গত ১৪ অক্টোবর, রোবি কলট্রেনের আকস্মিক প্রয়াণে, থমকে গেছে একটা আস্ত বিশ্ব।

‘হ্যারি পটার’ (Harry Potter) সিরিজের অন্যতম প্রধান চরিত্র ছিলেন ‘হাগ্রিড’, ওরফে রোবি কলট্রেন। গতকাল তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে চমকে ওঠেন হ্যারি-প্রেমীরা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয় ৭২ বছর। হ্যারিকে হগোয়ার্টস নিয়ে আসেন হ্যাগ্রিড। বলা যায়, হ্যারির সঙ্গে বাকি শিশুদেরকেও নিয়ে পাড়ি দেন তিনি রূপকথার পৃথিবীতে। হ্যারি যেমন হ্যাগ্রিডকে জড়িয়ে বলেছিলেন, হগোয়ার্টস তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ, সে কথা রোবির প্রয়াণে সারা বিশ্ব উপলব্ধি করছেন। শুধু সেই রূপকথার যাপন নয়, বাস্তবেও তিনি শুন্যতা তৈরি করে গেলেন।

গতকাল এই প্রজন্ম আরও একটি কঠিন বাস্তবের সম্মুখীন হয়েছেন। আরও একবার শৈশব শেষ হয়ে যাওয়ার ধাক্কা তাঁদের খেতে হয়েছে কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলটি বন্ধ করে দেওয়ার খবরে। দুই ক্ষেত্রের দুই নস্টালজিয়াকে ম্লান হয়ে যেতে দেখে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছিল তারা। সকলের মধ্যেই ঘিরে ধরেছে ‘End of an Era’ র যন্ত্রণা।

Scroll to Top