এক সময় তাঁকে ছোট পর্দায় বেশ সক্রিয় ভাবে দেখা যেত। বাংলার অন্যতম সেরা বিনোদন অনুষ্ঠান, ‘মীরাক্কেল’ (Mirakkel) এর তিন প্রধান বিচারকের মধ্যে একটি আসন ছিল তাঁর। তিনি, শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। অভিনয় গুণে কোনও অংশে কম না থেকেও, অনেকটাই ওঠা পড়া নিয়ে এগিয়েছে তাঁর কেরিয়ারের গ্রাফ। তিনি এমন একজন অভিনেত্রী, যাঁকে বিতর্ক ছাড়ে না। অন্যায়ের প্রতিবাদের সরব হন বলেই হয়ত, তাঁকে জড়িয়ে পড়তে হয় একটার পর একটা বিতর্কিত আবহে। প্রায় পঁচিশ বছর রুপোলি জগতে আছেন তিনি, এর মধ্যে ‘ছাদ’ নামের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিও নির্মাণ করেছেন অভিনেত্রী। যেটি প্রায় অনেকগুলি চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় গেছিলেন। সেখানে সাংবাদিক সন্মেলনে বেশ অকপট আলোচনায় মেতে ওঠেন শ্রীলেখা।
শ্রীলেখা মিত্র সামাজিক মাধ্যমেও (Social Media) বেশ সক্রিয়। কখনও শরীর চর্চা, কখনও তাঁর চারপেয় সন্তানদের সঙ্গে মুহুর্ত যাপন, কখনও বা লাবণ্যময়ী হয়ে নানা রকম সাজে ছবি তিনি তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ভাগ করে থাকেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে তিনি কোনও ছবির বিশেষ কাজেই গেছিলেন। সেখানে এক দল সাংবাদিক তাঁকে ঘিরে ধরেন। অভিনেত্রী বেশ খোশ মেজাজে তাঁদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাংবাদিকরা তাঁকে তাঁর পশু প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জানান, আগে তাঁদের বাড়িতে সকল ধরনের মাংস খাওয়ার চল ছিল। কিন্তু এই পশু প্রেমের জন্য তাঁদের মাংস খাইয়া চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর কন্যা, ঐশী ছোট থেকে মুরগির মাংস ছাড়া খেতেন না। কিন্তু এখন মাছ, মাংস, ডিম সবকিছু তিনি ত্যাগ করেছেন। অভিনেত্রী যোগ করেন, তিনি আগে খুব ভালো পাঠার মাংস রান্না করতেন। এখন কিছুই করা হয় না। বরং মাংস এলে, তা তাঁদের চারপেয় সন্তানদের জন্যই আসে। শ্রীলেখা বলেন, একটি ছোট্ট পিপড়ের প্রতিও তিনি ভীষণ সহনশীল মনোভাব পোষণ করেন।
বাংলাদেশের আতিথেয়তা নিয়েও মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, এমন আন্তরিকতা কোনও দেশে নেই। এমনকি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি খাবারও ভীষণ সুস্বাদু। পোলাওয়ের মত সরু এবং নরম চালের ভাত খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন নায়িকা।
সাংবাদিকরা বাংলাদেশী ছবিতে শ্রীলেখার অভিনয় করা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, দুটি ছবির গল্প তাঁর বেশ মনে ধরেছে। যদি নিশ্চিত রূপে কাজ এগোয়, সে কথা তিনি নিজেই জন মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন।