প্রিয় শহর কলকাতার উদ্যেশ্যে কোন গানটি থাকে শ্রেয়ার প্রাধান্যের তালিকায়? জানালেন খোদ গায়িকা

বহরমপুরের ‘টুনা’ সঙ্গীত জগতে পা রাখেন ১৯৯৮ সালে। প্রায় ২৫ বছর ধরে সুরের মায়ায় বেঁধে রেখেছেন সঙ্গীত প্রেয়সীদের। শ্রেয়া ঘোষাল, তাঁকে সুরের সম্রাজ্ঞী হিসেবে অভিবাদন জানালে কম বলা হবে না। মাত্র চার বছর বয়স থেকে সুরের সাম্রাজ্যে আবেগ ফোটাতে শুরু করেছিলেন ছোট্ট শ্রেয়া। ছয় বছর বয়সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মত কঠিন সঙ্গীতের ঘরানাকে রপ্ত করতে শুরু করেন ‘টুনা’। মাত্র ষোলো বছর বয়সে একটি জনপ্রিয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে তাঁর জীবন প্রবাহ সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলে। বাংলা ছড়িয়ে শ্রেয়ার খ্যাতি দেশ তথা বিশ্বের দরবারে প্রকট হয়ে ওঠে। সফল গায়িকা হলেও, মাটির টান কিন্তু গভীর ভাবে অনুভব করেন শ্রেয়া। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এমন মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি।

Shreya Ghoshal

ভিডিওতে শ্রেয়াকে বলতে শোনা গেছে, প্রত্যেক শহরের এক নিজস্ব মিষ্টতা থাকে। কলকাতাও ব্যতিক্রম নয়। গায়িকা জানিয়েছেন, প্রত্যেক শহরের প্রতি এক আলাদা টান অনুভব করেন তিনি। তাই সেই সকল স্থানে অনুষ্ঠানে গেলে, সেই জায়গায় মতই করে গানের নির্বাচন করে থাকেন। কলকাতার ক্ষেত্রেও এমন করে থাকেন গায়িকা। জানেন কি, কলকাতার জন্য কোন গান থাকে শ্রেয়ার প্রাধান্যের তালিকায়? শ্রেয়া বলেছেন, ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পরিণীতা’ ছবির গান ‘পিউ বোলে’ তিনি কলকাতাবাসীর জন্য গেয়ে থাকেন। অন্য কোনও গানের নির্বাচন না করলেও, কলকাতার অনুষ্ঠানে টপ লিস্টে এটি জায়গা পাবেই শ্রেয়ার কাছে।

Shreya Ghoshal

সাল ২০০৫। মুক্তি পেল ‘পরিনীতা’। বাঙালি ঔপন্যাসিক শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে, বলিউড পরিচালক প্রদীপ সরকার এই ছবির পরিচালনা করেন। ছবিটি হিন্দিতে ডাবিং হলেও, পরতে পরতে ছিল বাঙালিয়ানার আমেজ। তাই, প্রত্যেক বাঙালির বেশ কাছের হয়ে উঠেছিল এই ছবি। শান্তনু মৈত্রের সুরের জাদুতে, বাঙালি হৃদয়ে দোলা লেগেছিল। গানগুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, সোনু নিগমের মত সুরের জাদুকরেরা। তাঁদের কণ্ঠেই গান, ‘পিউ বোলে’ মন জয় করে নিয়েছিল সঙ্গীতপ্রেমীদের।

Shreya Ghoshal
Scroll to Top