ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) নাম ‘সিত্রাং'(Sitrang)। নামটি থাইল্যান্ডের (Thailand) দেওয়া এবং এটি হলো শ্রীলঙ্কার (Srilanka) শব্দ, যার অর্থ পাতা। কালিপুজোর সময়েই এই ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়েছে। বর্তমানে কোথায় এর অবস্থান সেই বিষয়েই জানার চেষ্টা করলাম আমরা আবহবিদদের থেকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে (Bangladesh) তান্ডব চালাচ্ছে ‘সিত্রাং'(Sitrang)। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে তান্ডব চালাচ্ছে সে। কাল, সোমবার এটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় উপকূলের দিকে যার প্রভাবে সোমবার থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে যা আগামী ৪৮ ঘন্টা অবধি থাকতে পারে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। নামতে পারে ধসও। তবে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ সন্ধে থেকে অবস্থার উন্নতি হবার কথা। ‘সিত্রাং’ (Sitrang) এর প্রভাবে বরিশাল (Barishal) ও ঢাকায় রেকর্ড (Dhaka) বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা।
আবহবিদরা আরো বলেন যে ডিসেম্বরে আবার ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকেই সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। সোমবার ‘সিত্রাং’ (Sitrang) প্রসঙ্গে একটি বিজ্ঞপ্তিতে সই করে আবহবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কামাল মল্লিক বলেন যে, উপকূল অতিক্রম করে ধীরে ধীরে ‘সিত্রাং’ স্থলভূমিতে নিম্নচাপে (Low Pressure) পরিণত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার এটির দুর্বল হবার কথা আরো।
অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে ৩ থেকে ৫ ফুট,বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে (Waterflow) প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরগুলিতে মাছ শিকার করার নৌকো ও মাঝিদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) প্রভাবে এখনো অবধি বেশ কিছুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো বাড়তে পারে এই সংখ্যা। সবাই সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।