খননকার্য চালিয়ে মাটির নীচ থেকে গুপ্তধন পাওয়ার খবর মাঝে মধ্যেই উঠে আসে। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গাই মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন গহনা থেকে শুরু করে ধাতুর মুদ্রা প্রভৃতি জিনিস উঠে এসেছে। জিনিসগুলি অনেক বছরের পুরনো হয়ে থাকে। সম্প্রতি এমনই এক খবর উঠে এসেছে। যেখানে বলা হচ্ছে একটি কৃষক মাটির নিচে থেকে গুপ্তধনের খোঁজ পেয়েছেন।
আজকের প্রতিবেদনে এই খবরটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেব।
একই কৃষক তার অনুর্বর জমি থেকে পেলেন গুপ্তধন। গত বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার জানগাঁও জেলার পেম্বার্থি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ওই কৃষকের নাম নরসিংহ, যিনি অনুর্বর জমি সমতল করার সময় মাটির নিচে থেকে খুঁজে পেলেন সোনার মূল্যবান গহনা। এই গহনাগুলির সবমিলিয়ে ওজন প্রায় ৫ কেজি, যার দাম বর্তমান মূল্যে কত টাকা। ঘটনাটি ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যে খবরটি দ্রুত চারিপাশে ছড়িয়ে পড়ে। শয়ে শয়ে লোক জড়ো হয় তেলেঙ্গানার ওই গ্রামে। জানা যাচ্ছে সোনাগুলি উদ্ধার করে প্রশাসনের অফিসাররা পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছেন।
ওই কৃষকটি মাটির নীচে থেকে পেয়েছেন ২২টি সোনার কানের দুল। একই সাথে প্রায় ৫৮ গ্রাম ওজনের ৫১ গুন্ডেলু সহ ১১টি পুস্তেলু। এর সাথে রয়েছে একটি নাগা পড়িগেলু, যার ওজন ১৩ গ্রাম।
অন্যদিকে জমি খুঁড়ে পাওয়া গেছে ২৪ গ্রামের একটি ছোট সোনার রড এবং ২৬টি রূপার কাঠি। এছাড়াও এই গুলির সঙ্গে রয়েছে রৌপ্য আংটি, চেইন ইত্যাদি গহনা। এই গহনাগুলি ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি তমার কলসির মধ্যে ভরা ছিল। অনেকেই মনে করেছেন, এই গুপ্তধনগুলি কাকাতিয়া রাজ্যের কোনো এক রাজবংশের। যে রাজ্যের রাজধানী ছিল ওয়ারঙ্গল।
তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালের নাগাদ তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেডি জেলার জহিরাবাদের আরেক কৃষক জমিপুরে গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছিলেন। ওই কৃষকের নাম ইয়াকুব আলী। যিনি জমিতে লাঙল দেয়ার সময় মাটির নিচ থেকে প্রচুর সোনা ও রত্ন খুঁজে পান। এই খননে তিনি পেয়েছিলেন ২৫টি স্বর্ণমুদ্রা, গলার অলংকার, আংটি, ঐতিহ্যবাহী বাসনপত্র সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী। যা ইতিমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পাঠানো হয়েছে।