রোজের ডায়েটে ছাতুর শরবত, দিন কয়েকেই ম্যাজিকের মতো ফল পাবেন। জানুন বিস্তারিত।

বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার পারদ যেন নামছেই না। ভ্যাপসা গরম থাকছেই। এই গরমে খাওয়া দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শরীর ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খাওয়াই এই সময় ভাল। এর মধ্যে থাকতে পারে এই গম, ছোলা এবং যব বা বার্লি থেকে তৈরি ছাতু। ছাতুর এক গ্লাস সরবত চারটি রুটির সমান।

একটি বিশেষ ধরনের ছাতু খাওয়া হয় রাজস্থানে। মূলত তিন ধরনের শস্য থেকে তৈরি করা হয় এটি। গম, ছোলা এবং যবের দানা থেকে তৈরি এই ছাতু প্রোটিনে সমৃদ্ধ। প্রচণ্ড গরমে এই ছাতুর সরবত হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা করতে পারে অনেকাংশেই। প্রোটিনের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

গ্রীষ্মে শরীরে জলের প্রয়োজন খুব বেশি হয়। তাই সরবত খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই সরবত হতে হবে স্বাস্থ্যকর। যাঁরা রোদে পরিশ্রম করেন, তাঁরা সারাদিনে এই সরবত পান করতে পারেন। তাতে শরীর ঠান্ডাও থাকবে, মিলবে শক্তিও। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা দাবি করেন, এই পানীয় শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।

কীভাবে বানাতে হবে এই সরবত জেনে নিন:
i) প্রথমে এক গ্লাস জলে দু’চামচ ছাতু মিশিয়ে নিন। সঙ্গে স্বাদ মতো দিতে হবে দুই চামচ চিনি। সবটা ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি সরবত।

দিনের যে কোনও সময় এটি পান করা যেতে পারে। এমনকী খিদে মেটাতে এই সরবতের জুড়ি মেলা ভার। সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে এই সরবত খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়ানো যেতে পারে অনেকাংশেই।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য:
এই ছাতুর সরবতের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এমনকী ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরাও নিশ্চিন্তে এই পানীয় গ্রহণ করতে পারেন প্রচণ্ড গ্রীষ্মে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য তৈরি করা সরবতে চিনির পরিমাণ একেবারে অল্প হতে হবে, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে।

চিনি না দিয়ে ছাতুর সরবতে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে সামান্য লবণ, শুকনো পুদিনা ও জিরা গুঁড়ো। এটি শরীরের পক্ষে আরও উপকারী।

Scroll to Top