কম বয়সেই চুলে পাক? কী কী উপায় অবলম্বন করবেন দেখে নিন।

বর্তমান যুগে স্ট্রেস, দূষণ, পেটের রোগ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে চুলে পাক ধরা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুলের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু অল্প বয়সে চুলে পাক ধরলে হতে পারেন বন্ধুদের কাছে এবং অন্যান্য পরিচিতদের কাছে হাসির খোরাক।

আজকের এই প্রতিবেদন মারফত আমরা এমন কিছু টোটকা বা টিপস দিতে চলেছি যেগুলি মানলে খুব সহজেই আপনি এই পাকা চুলের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। পাকা চুলের অধিকারী যদি আগেই হয়ে গিয়ে থাকেন তাও এই টোটকাগুলি আপনার উপকারে আসবে। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক।

আমলকি:
শরীরের যত্ন নেওয়া হোক বা হোক রূপচর্চা; আমলকি সবেই হিট ভূমিকা পালন করে। আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান। যা কম বয়সে চুলে পাক ধরা আটকায়। সেই সঙ্গে চুলও লম্বা করে। আমলকির রস চুলের গোড়ায় মাখলে উপকার পাবেন।

নারকেল তেল ও লেবুর রস:
নারকেল তেল চিরাচরিত একটি উপায় যা চুলের যত্ন নিতে অত্যন্ত দক্ষ। নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ভাল করে মেখে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। দ্রুত চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমাবে এই ঘরোয়া টোটকা। চুলও বড় হবে এতে।

রোজমেরি তেল:
রোজ়মেরি তেল একটি অব্যর্থ ওষুধ চুলের পাক ধরা আটকানোর ক্ষেত্রে। এই তেল মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেল ব্যবহার করলে চুল ভাল থাকবে। চুল দ্রুত পেকেও যাবে না। চুলের বৃদ্ধিও হবে।

মেথি:
চুলের সমস্যা মেটাতে মেথির মতো উপকারী জিনিস সত্যিই কম আছে। মেথির ব্যবহারে বয়সকালেও কালো থাকে চুল। মেথি গুঁড়ো করে প্রথমে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। মেথির ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে এবং শক্তিশালী।

বিটের রস:

সবশেষে বলি বিট নামক সবজির কথা। বিটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন সি-র মতো উপকারী উপাদান। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এই ধরনের পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে এবং কম বয়সেই চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা কমাতে এই পানীয় উপকারী। পান করেই দেখুন না হয়।

Scroll to Top