বিপন্ন জনজীবন, থাবা বসিয়েছে কনজাংটিভাইটিস!

অতিমারির আতঙ্ক কাটেনি। বিগত তিন বছর ধরে সেই বিভীষিকাময় পারিপার্শ্বিকতার রেশ কাটতে না কাটতেই, আবারও বিপদের মুখে নাগরিক জীবন। বিপন্ন দৈনন্দিন রোজনামচা। থাবা বসিয়েছে কনজাংটিভাইটিস! গোদা বাংলায় যার স্থানীয় নাম ‘জয় বাংলা’। বাংলা নয়, সারা দেশ কাঁপছে এখন এই নতুন ‘দস্যু’র হানায়। রেকর্ড গড়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই। গত জুলাই মাসে এই শহরে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ছয়শোর কাছাকাছি। এখন সে সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ।

মুম্বইয়ের ফর্টিশ হাসপাতালের সিনিয়র চক্ষু বিশারদ, শ্রীমতী গিরিজা সুরেশ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রতি দিন তাঁদের কাছে আট থেকে দশ জন এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি আসছেন চিকিৎসার আশায়। যেহেতু এটি সংক্রামক ব্যাধির, তাই মূলত স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মধ্যে প্রকট আকারে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও মধ্যবয়সী ব্যাক্তিদের কর্ম ক্ষেত্র থেকে এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও বেশ নজরে পড়ছে।

এই রোগ ভাইরাস বা এলার্জির ফলে সংঘটিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি দ্বারা সংক্রমনের ফলেও এই রোগ ছড়িয়ে যায় বৃহৎ পরিসরে। চোখ কটকটে লাল হওয়া, স্ফীত হয়ে ওঠা, অনবরত জল কাটা, এবং চোখে জ্বালা হওয়ার কত উপসর্গ দেখা যায় এই রোগে।
সচেতনতা অবলম্বন হিসেবে বলা যায়, যিনি এখনও আক্রান্ত হননি, খেয়াল রাখা দরকার তিনি যেন কোনওভাবেই আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে না যান, এবং তাঁর কোনও ব্যবহার যোগ্য জিনিস না স্পর্শ করেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকেও থাকতে হবে ‘আইসোলেশন’ এ।

আপনি যদি কোনও কারণে আক্রান্ত হন, তাহলে বেশ কিছু দিক আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।

১) কোনওভাবেই অন্যদের মাঝে যাওয়া যাবে না। আপনার ব্যবহৃত সামগ্রী অন্যকে দেওয়া যাবে না।

২) মৃদু উষ্ণ জলে, হালকা কাপড় বিষয়ে চোখে ভাপ দিতে হবে কিছু সময় অন্তর অন্তর।

৩) চোখ একেবারেই ঘষা যাবে না।

৪) হাত ভালো করে স্যানিটাইজার দিয়ে ধুয়ে তবেই চোখে দেওয়া যাবে।

৫) চোখের কোনও রকম প্রসাধন ব্যবহার করা যাবে না।

৬) নিজে থেকে কোনও রকম চিকিৎসা করতে যাবেন না। ভালো করে ডাক্তার দেখিয়ে, তাঁর প্রেসক্রাইব মত ওষুধ গ্রহন করবেন।

বি দ্রঃ – চোখে কোনও রকম অস্বস্তি অনুভব করলে, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। দেরি করবেন না। চোখের কত সংবেদনশীল অঙ্গের প্রতি যত শীঘ্র ব্যবস্থা নিতে পারবেন, ততই উপকার পাবেন।

Scroll to Top