টলি জগতের একজন ওজনদার অভিনেত্রীর নাম হল শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তাজ হোটেলে কর্মরত থাকাকালীন প্রস্তাব পান অভিনয় জগৎ থেকে। পরিচালক দুলাল লাহিড়ীর ‘বালিকার প্রেম’ ধারাবাহিকের একটি চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন। অভিনয় জগতের হাতে খড়ি তখনই হয় তাঁর, তারপর উঠতে থাকে তাঁর সাফল্যের পারদ। কোনও ‘গড ফাদার’ না থেকেও বা কাউকে অতিরিক্ত প্রশ্রয় না দিয়েও নিজের যোগ্যতায় একের পর এক বিভিন্ন জনপ্রিয় ধারাবাহিক, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শ্রীলেখা পোক্ত করে নেন তাঁর জমি।

শ্রীলেখা একজন স্পষ্টবাদী মানুষ। স্পষ্ট কথা কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়া বলে দেন বলে তিনি কোণঠাসা হয়ে থাকেন। এমনকি প্রিয় মানুষেরাও তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করেন। কিন্তু তিনি বরাবরই বাবার আদরের রাজকন্যেটিই। তাঁর সমস্তটা কেন্দ্র করে ছিলেন তাঁর বাবা শ্রী সন্তোষ মিত্র। কিন্তু বছর কয়েক আগে, সেই মানুষটির সঙ্গেও চির বিচ্ছেদ ঘটে শ্রীলেখা মিত্রর। বাবার আদুরে এই কন্যারত্নটি হয়ে ওঠেন আরও বেশি একা।

জীবনের যেকোনও বিশেষ দিনেই এই কিছু বছরে বাবার অনুপস্থিতি গ্রাস করেছে তাঁকে। সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন সে কথা। মা চলে গেছেন আরও আগে। তাই জীবনের সবচেয়ে প্রিয় ‘বন্ধু’র চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না অভিনেত্রী। তবুও তো জীবন স্রোতস্বিনী। এগিয়ে যেতেই হয়। তাই শ্রীলেখা রওনা দিয়েছেন গয়ার উদ্দ্যেশ্যে, বাবার পিন্ডদান সম্পন্ন করতে। হিন্দু মতে, পিন্ডদান একটি পবিত্র প্রথা। যার মাধ্যমে আত্মার মুক্তিলাভ ঘটে। শ্রীলেখাও তাই চান বাবার মুক্তিলাভ। কিন্তু বন্ধন ছিন্ন করা কি সত্যিই সহজ? অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে নিজেই স্বীকার করেছেন, এমন একটি দিনও যায় না যেদিন বাবা তাঁর স্বপ্নে আসেন না। এই অতল গভীর ক্ষতের যন্ত্রণা অবর্ণনীয়। মা বাবা হলেন সন্তানের অন্যতম শক্তিশালী আশ্রয়। তাঁরা না থাকা মানে, সত্যিই ভিটেহীন হয়ে যাওয়া। মা বাবা চলে যাওয়ার পর, ভালো নেই অভিনেত্রী। তাঁর যন্ত্রণা প্রায়শই ফুটে ওঠে অনুগামীদের সম্মুখে।
