হাওড়ায় তৈরি হচ্ছে ভারতবর্ষের প্রথম ত্রিমাত্রিক তারামন্ডল, জানুন বিশদে

“মহাবিশ্বে, মহাকাশে, মহাকাল-মাঝে…” আর সেখানেই কত রহস্য! এক অজানা বিশ্ব পৃথিবীর ওপারে! তাই তো, ‘আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে….”! বিশ্বের ওপরেও যে সর্বেসর্বা মহাবিশ্ব বা মহাকাশ রয়েছে, তাকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বারবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাঁর লেখনীতে। তাই মহাকাশের অজানা রহস্য নিয়ে, সমাজকে অবগত করতে বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে মহাকাশ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। মজার ছলেই বিশ্বের ওপরের বিশ্ব সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রাপ্তি হয় উৎসুক ব্যাক্তির। ছোটদের জন্য এমন উদ্যোগ বেশ স্বীকৃত হয়ে থাকে সর্বত্র।

Birla Planetarium

কলকাতায় বিরলা তারামন্ডল এমনই এক প্রাণকেন্দ্র কলকাতাবাসীর। যেখানে সপ্তর্ষি মন্ডল হোক কি মিল্কি ওয়ে, অথবা ব্ল্যাক হোলের গোলকধাঁধা, সবকিছু নিয়েই মানুষ জানতে পারেন। হাওড়াতেও নেওয়া হচ্ছে এমন উদ্যোগ। মহাকাশ জ্ঞানের সঙ্গে, এই প্রথম মানুষ ত্রিমাত্রিক অর্থাৎ থ্রিডি তারামন্ডলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

এই তারামন্ডলে থাকবে উন্নত মানের থ্রিডি অ্যানিমেশনের ব্যবস্থা। যার জন্য, মহাকাশ জগত সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবে ছোটরা। কর্ণাটকের পিলিকুলা, ম্যাঙ্গালোরে ভারতের প্রথম উন্নত মানের থ্রিডি তারামন্ডল তৈরী হয়। বলা বাহুল্য, আমাদের রাজ্যে হাওড়াই প্রথম, যে এমন এক গর্বের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই তারামন্ডলের বিশেষত্ব হল, এটি ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ যে বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা থাকে, তাদের ত্রিমাত্রিক বলা হয়ে থাকে। ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি প্রযুক্তি বেশ সমাদৃত এই যুগে। এই তারামন্ডল সম্পূর্ণ LED-ভিত্তিক প্রজেক্টর যেখানে 8K ULTRA LED ল্যাম্প এবং একসঙ্গে প্রায় 32টি লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Planetarium in Hawrah

তারামন্ডলটি হাওড়ার শরত সদনে তৈরি হয়েছে। বিরতি নিয়ে ৪৫ মিনিটের শোয়ে থাকবে মহাকাশের অজানা সফরের রহস্য উন্মোচন। প্রত্যহ দুপুর ৩টে, বিকেল ৪টে এবং ৫টার স্লটে আয়োজিত হবে এই শো। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিট মূল্য ১২০ এবং ছোটদের জন্য ৭০ টাকা। আসন সংখ্যা ১০০টির কাছাকাছি। আগামী ২ ডিসেম্বর হবে এটির শুভ উদ্বোধন। হাওড়া স্টেশন থেকে ময়দানগামী যেকোনও বাসে করে যাওয়া যাবে গন্তব্য স্থলে।

Scroll to Top