Indoor Plant: বাড়িতে ইন্ডোর প্ল্যান্ট হিসেবে ডিফিনক্যানিয়া বা Dumbcane গাছ লাগান? এর ক্ষতিকর দিকগুলি জানেন কি?

আমরা যারা গাছ ভালোবাসি তারা শুধু বাইরের সৌন্দর্য না বরং ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে ইন্ডোর প্ল্যান্টসও লাগান ঘরের মধ্যে। এই ইন্ডোর প্ল্যান্টসগুলি শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় তাই নয় বরং গাছগুলির মধ্যে অনেকেই অক্সিজেনও সরবরাহ করে বাতাসের ক্ষতিকারক Co2 বের করে বাতাসকে পরিষ্কার রাখে। এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের মধ্যে জনপ্রিয় হলো ডিফিনক্যানিয়া বা Dumbcane এবং এই গাছ উপকারী হবার সাথে সাথে ক্ষতিকারকও বটে! কীরকম? জেনে নিন।

যতটা সুন্দর দেখতে ততটাই ক্ষতিকারক এই Dumbcane গাছটি। এই গাছ যখন বাতাসের টক্সিক পদার্থ নিংড়ে বের করে বাতাস পরিষ্কার করে তখন কিন্তু সেইসব টক্সিক পদার্থ এই গাছের পাতায় জমা থাকে। ফলস্বরূপ, এই গাছের পাতা, মূল, কান্ড বা কোনো অংশ চেবালে এতে থাকা অক্সালেট যৌগের কারণে মুখে ও হাতে তীব্র জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হয়। এরপরের ফল হয় আরো ভয়াবহ!

ধীরে ধীরে এই জ্বালাপোড়ার কারণে গলা, ঠোঁট, জিভ ইত্যাদি বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। এরপরে শ্বাসকষ্ট শুরু হবে এবং ঢোক গিলতে অসুবিধা হয় এবং শেষে কথা বলার শক্তি কমে আসতে আসতে মানুষ বোবা হয়ে যেতে পারে! শেষ পরিণতি হবে মৃত্যু!

হ্যাঁ, মৃত্যু ঘটে শেষ অবধি মানুষের। গবেষণায় তেমনই জানা যাচ্ছে। গবেষণায় জানা যাচ্ছে যে, এই গাছের কোনো অংশ সেবনের মাত্র একমিনিটের মধ্যে একটি শিশুর মৃত্যু ঘটে এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটে মাত্র পনেরো মিনিটের মধ্যেই!

সেবন না করলেও, যদি আপনি এই গাছের পাতা নেড়ে তারপর হাত না ধুয়ে চোখে হাত দিলে অন্ধত্ব নেমে আসতে পারে। এই সময় আপনার কি করণীয়?

বাড়িতে বাচ্চা থাকলে গাছটির কাছে যেতে দেবেন না। নিজেও সাবধানে থাকবেন আর অন্যদেরও রাখুন।

Scroll to Top