“ও ও, আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে…”! ছোটবেলায় এই গান ছাড়া যেন পুজো শুরুই হত না আমাদের। পুজো আসছে! সঙ্গে এক মাস ব্যাপী স্কুল ছুটি, আনন্দ, হইহই, রাত জেগে ঠাকুর দেখা, আরও কত কী! কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, ব্যস্ত রোজনামচায় সময়ের স্রোতে যেন অনেক আবেগ ভেসে যায়! স্কুলের দিনের স্মৃতিতে আস্তে আস্তে মরছে পড়ে। ফিকে হতে থাকে বিটনুন আর চুরমুরের সেই আদুরে খুনসুটিতে ভরা গল্পের কত সুন্দর দিনগুলো। কিন্তু কোনও ভাবে কি ফিরে যাওয়া যায় শৈশবের ফেলে আসা অলিতে গলিতে? এমনটাই ভেবেছে এবারে অগ্রদূত পুজো কমিটি। এই বছরে তাঁদের পুজোর নিবেদন, ‘পুরানো সেই স্কুলের কথা’।
পুজো আসতে আর হাতে গোনা কয়েকটি দিন বাকি। তিলোত্তমা এখন সেজে উঠছে পুজোর রঙে। অধিকাংশ জায়গায়ই হয়ে গেছে খুঁটি পুজো। অগ্রদূত দুর্গোৎসব সমিতির এবারে বিশেষ উদ্যোগ, দর্শনার্থীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সেই পুরনো দিনগুলিতে। যে সময়গুলিতে ভরাট হয়ে রয়েছে শৈশবের সারল্য। স্কুলের দিনগুলিতে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় না, এমন মানুষ কম। তাই এই উদ্যোগ সকলের মনে যে দাগ কাটবে, সেই নিয়ে আশাবাদী এই সমিতির সকল সদস্যবৃন্দ।
এই সমিতির ‘থিম’ এর প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন টলি দুনিয়ার জনপ্রিয় দুই মুখ, নীল ভট্টাচার্য এবং তৃণা সাহা। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা একটি ছবিতে তাঁদের দুজনকে স্কুল ইউনিফর্মে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দুটি শিশুও। আগামী ২০ অগাস্ট, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সংঘটিত হবে এই সমিতির খুঁটি পুজো। নীল এবং তৃণার শুভাকাঙ্খীরা বিশেষ উৎসাহী তাঁদের এই রূপে দেখে। নীলের শৈশবের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, স্কুলের দিনগুলি তাঁরাও প্রচণ্ড ‘মিস’ করেন। তাই নীলের সঙ্গে এই পুজোতে সামিল হবেন তাঁরাও। ধারাবাহিকে অভিনয়ের সঙ্গে আপাতত নীল এবং তৃণা ব্যস্ত আছেন তাঁদের নতুন বুটিক নিয়ে। খুব সম্প্রতি তৃণা অভিনীত ওয়েব সিরিজ আসতে চলেছে ওটিটি মাধ্যমে।