Small Savings Scheme: পোষ্ট অফিসের নিয়মে বদল। টাকা জমা রাখার নিয়মে বদল। জানুন বিশদে।

Small Savings Scheme: পোষ্ট অফিসের নিয়মে বদল। টাকা জমা রাখার নিয়মে বদল। জানুন বিশদে।

নিজের কষ্টার্জিত অর্থ বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও এখনও পোস্ট অফিসেই সঞ্চয় করতে ভালোবাসেন বেশিরভাগ মানুষ। আসলে পোস্ট অফিসে লাভ বেশি এবং সুদের পরিমাণও বেশি তাই পছন্দের তালিকায় প্রথম এটি। বিশেষত পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে বেশি পচ্ছন্দ করে দেশবাসী। একজন সেই প্রকল্পেরই নিয়মের বদল ঘটলো। কিরকম বদল? আসুন জানা যাক।

সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ডাক বিভাগের তরফ থেকে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে এবার থেকে গ্রাহকের KYC লাগবে। শুধু তাই নয় বরং এবার এই প্রকল্পের নিয়মেও কড়াকড়ি আনা হবে বলে জানা গেছে ডাক বিভাগের তরফে।

এখন থেকে যদি কোনও বিনিয়োগকারী পোস্ট অফিসের স্কিমে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করেন, তবে তাঁকে KYC DOCUMENTS এর মাধ্যমে আয়ের প্রমাণও দিতে হবে। ডাক বিভাগ সব পোস্ট অফিসকে বলেছে যে, তাদের অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উপার্জনের প্রমাণ হিসেবে KYC লাগবে। বিনিয়োগকরীদের প্যান এবং আধার কার্ডও প্রমাণ হিসেবে দিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ডাক বিভাগের সমস্ত বিনিয়োগকারীকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঝুঁকির ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের ভাগ করা হয়েছে। কিরকম ভাগ? আসুন জানা যাক।

১) যদি কোনও বিনিয়োগকারী কোনও স্কিমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন ও সব পোস্ট অফিস স্কিমে তার ব্যালেন্স ৫০ হাজার টাকার বেশি না হয়, তবে তিনি কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগকারী হিসাবে বিবেচিত হবেন।

২) যেসব বিনিয়োগকারীরা ৫০ হাজার টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকার কম টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাঁদের মাঝারি ঝুঁকির ক্যাটাগরিতে রাখা হবে। এই ক্ষেত্রে সব স্কিমের ব্যালেন্স যদি ১০ লক্ষ টাকার কম কিন্তু ৫০ হাজারের বেশি হয় তবে তা মধ্যম বিভাগে রাখা হবে।

৩) একইভাবে পরিমাণ ১০ লাখ বা তার বেশি হলেই সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উচ্চ ঝুঁকির বিভাগে বিবেচনা করা হবে। এদের ওপরই KYC-র বিনিয়োগের নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। সবের ওপর এদের থেকেই উপার্জনের প্রমাণ চাওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply