‘বিপদে পড়েছি’, ফোন করে জানালো সারমেয়! হুগলির ঘটনায় তাজ্জব নেট পাড়া

কখনও কোনও বিপদে পড়েননি এমন প্রাণী সারা পৃথিবীতে চিরুনি তল্লাশি করে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় মানুষ যেহেতু বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে, তাই উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন উপায়ে তাঁরা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম। এমন অনেক মানুষও থেকে থাকবেন যাঁরা বিপদে পড়লে প্রিয় মানুষদের ফোন করে, উদ্ধারের আশায় খবর দেন। উৎকৃষ্ট শ্রেণী হিসেবে মানুষ পারে না এমন কাজ নেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, মানুষ নয়, বরং অন্য একটি শ্রেণীর প্রাণী বিপদে পড়ে, ফোন করে সাহায্য প্রার্থনা করছে! অবাক হবেন নিশ্চয়ই! নিশ্চয়ই ভাববেন, মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণী ফোন করতে পারবে! কীভাবে? ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে হুগলির বলাগড় থানার অধীন, গুপ্তিপাড়া এলাকায়। কী হয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

গুপ্তিপাড়া এলাকার পঞ্চায়েত অফিসে, অন্যান্য দিনের মতই সকল কাজ সম্পন্ন করে তালা লাগিয়ে বাড়ি ফিরে গেছিলেন উপপ্রধান। বাড়ি গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত সময় যাপন করছিলেন তিনি। হঠাৎ বেজে ওঠে তাঁর ফোন। অফিসের নম্বর থেকে এসেছে ফোনটি। এত রাতে, বন্ধ অফিস থেকে কে ফোন করবেন তাঁকে! কেউ কি বিপদে পড়ল! কিন্তু অফিস ছিল ফাঁকা! তাহলে? তড়িঘড়ি ফোন ধরেন তিনি। আর তখনই ঘটে সেই ঘটনা। করুন সুরে শোনা যায় এক সারমেয়র ডাক। যেন প্রাণপণ সাহায্য প্রার্থনা করছে সে। কোনও ভাবনা চিন্তা না করে, অফিসের বেশ কিছু কর্মচারী এবং কয়েক জন স্থানীয় মানুষ নিয়ে অফিসে পৌঁছন উপপ্রধান। অফিসের তালা খুলতেই বেরিয়ে আসে একটি পথ কুকুর! তাঁকে দেখে রীতিমত ভিরমি খান উপস্থিত সকলে!

অফিসের ভেতর অসাবধানতা-বশত সারমেয়র আটকা পড়ে যাওয়ার চেয়েও সকলকে যেটি অবাক করেছে, তা হল সারমেয়র কীর্তি! অফিস চলাকালীন, রাস্তা থেকে অফিসে চলে আসে প্রাণীটি। তাই কর্ম ব্যস্ত অফিসে সেভাবে কারুর চোখে পড়েনি সে। এর ফলে অফিস বন্ধের সময় কোনও কারণ বশত আটকে যায় অফিসেই। কিন্তু কী করে সে অফিসের ল্যান্ড ফোন থেকে ফোন করল উপপ্রধানকে? এই ভাবনার কিনারা হচ্ছে না কিছুতেই। তবে অনেকেই বলছেন, কুকুরের বোধ শক্তি অনেক উন্নত হওয়ায়, ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতেই কোনও কারণে উপপ্রধানের কাছে চলে যায় ফোন। কিন্তু যতই যাই হোক, বিপদে পড়ে সারমেয়র ফোন করে সাহায্য প্রার্থনা, বেশ অবাক করেছে সকলকে।

Scroll to Top