বাড়াতে হবে উৎপাদন মূল্য, কৃষকদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে আন্দোলন মুর্শিদাবাদে

সময় যত উন্নত হচ্ছে, সময়ের স্রোতে ততই তাল মেলাচ্ছে পারিপার্শ্বিকতা। পরিবহন, আবাস, খাদ্য সবকিছুতেই এসছে নতুনত্বের ছোঁয়া। কৃষি শিল্পও নেই পিছিয়ে। উন্নত সার, উন্নত কৃষি প্রণালী, উন্নত যন্ত্রে কৃষকেরা যোগান দিয়ে যাচ্ছেন ভালো মানের ফসল। কিন্তু কৃষকেরা কী ভালো আছেন? পাচ্ছেন কি তাঁদের ন্যায্য মূল্য? উন্নতি সাধন হয়নি কেবল তাঁদের আর্থিক অবস্থার। আলু এবং পেঁয়াজের মত বিভিন্ন ফসলের মূল্য উত্তরোত্তর বেড়ে চললেও, ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক শ্রেণী। ঠিক এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হচ্ছে একাধিক জেলা। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের বাম জনগোষ্ঠীরাও পথে নামলেন, কৃষকদের উদ্যেশ্যে।

রাজ্যে আর্থিক ভাবে অগ্রসর হতে পারছেন না কৃষক জাতি। কারণ, তাঁরা থাকছেন ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত। ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম থাকছে আড়াইশো টাকার নিচে, যা উৎপাদন মূল্যের ধারে কাছে না। সেই কারণে উন্নত মানের ফসল যোগান দিলেও, কৃষকদের অবস্থার কোনওরকম উন্নতি হচ্ছে না। এই ঘটনার প্রতিবাদে, সরকারের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে সোচ্চার হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাদেশিক কৃষক সভা। তাঁদের সঙ্গে এই প্রতিবাদে মিলিত হন “সারা ভারত ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন” (AIAWU)। তাঁদের দাবি, আলুর মূল্য কুইন্টাল প্রতি এক হাজার টাকা বৃদ্ধি করতে হবে। বৃদ্ধি করতে হবে পেঁয়াজের মূল্যও।

শনিবার সকালে, মুর্শিদাবাদের বরঞার বাহাদুরপুর মোড়ে, বাম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একাধিক আন্দোলনকারী কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদী গর্জন তোলেন। এমনকী পথ অবরোধ করে, বস্তা ভর্তি আলু রাস্তায় ফেলে তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা আরও প্রকটভাবে ব্যক্ত হয়। উপস্থিত ছিলেন সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা। আন্দোলন এত গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছয় যে বরঞা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু কৃষকদের উদ্যেশ্যে এই প্রতিবাদে, সরকারের কী প্রতিক্রিয়া, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

Scroll to Top