রাজ্য সরকার আনলো নতুন প্রকল্প যাতে পাবেন বার্ষিক দশ হাজার টাকা! জানুন পদ্ধতি!

বর্তমান সময়ে জনগণের সুবিধার্থে অনেক প্রকল্প তৈরি করেছে সরকার। এর কোনোটি নারীর জন্য, কোনোটি আবার শিশুর জন্য। আবারও এনেছে সরকার একটি প্রকল্প যার নাম ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের তৈরি হলেও ২০২১ সালে এই প্রকল্পের নাম বদলে রাখা হয় ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’ যাতে কৃষকরা পান বিপুলহারে সুবিধা। জানুন বিশদে।
ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা অধিকাংশ আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে ঢুকে গেছে। তবে এখনো অনেকেই এই প্রকল্পের ব্যাপারে জানেন না বিশদে! আজকের এই প্রতিবেদন তাঁদের জন্যই। এই প্রকল্পর উদ্দেশ্য কৃষকদের সাহায্য করা এবং আবেদনকারীকে অবশ্যই তার জন্য হতে হবে ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে। আবেদনের নিয়মগুলি বিস্তারিতভাবে নীচে জানানো হলো-

১. কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘কৃষি বিভাগ’ অপশনে ক্লিক করবেন প্রথমে।


২. একটি একাউন্ট তৈরি করে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে।


৩. এরপর আবেদন করার অপশন খুলে যাবে। সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে।


৪. আবেদনের জন্য আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, বৈধ মোবাইল নম্বর, বৈধ ব্যাঙ্ক একাউন্ট, জমির দলিল ও পরচা লাগবে।


এছাড়াও বিস্তারে জানতে আপনি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে নিতে পারেন। নম্বরদুটি হলো-১)8597974989
২)6291720406
ফোন করার সময় সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা।
এছাড়াও একটি বৈধ ইমেইল আইডি আছে। সেটি হলো- krishak.bandhu@ingreens.com

আবেদন করা হয়ে গিয়ে থাকলে আপনার নাম আছে কিনা তা চেক করতে-
১. প্রথমে স্ট্যাটাসে নিজের কৃষকবন্ধু আইডি নম্বর দেখা যাবে। কৃষকের নাম, জেলা, ব্লক, জমির পরিমাণ, গ্রামের নাম ইত্যাদিও দেখা যাবে।
২. Status Approved না দেখালে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবার চেক করে দেখবেন আর Approved দেখালে দেখবেন ‘Transaction Successful’ লেখা আছে কিনা।

এই প্রকল্পে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিনা তা চেক করার জন্য-
১. আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’ লিখে সার্চ করতে হবে প্রথমে।
২ এরপর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. একটি নতুন পেজ খুলবে। তাতে আবেদনকারী কৃষকের ভোটার কার্ড নম্বরটি ঠিকভাবে লিখবেন।
৪. এবার ‘I am not a robot’ অপশনে ক্লিক করুন। তাহলেই আবেদনকারীর স্ট্যাটাস দেখা যাবে।
৫. যদি দেখেন সব ঠিক আছে তাহলে ব্যাঙ্কের মেসেজ এসেছে কিনা দেখতে হবে আর এই টাকা যেহেতু কিস্তিতে পাঠানো হয় তাই ২০০০ টাকা ঢোকার মেসেজ ঢুকলে বুঝবেন আপনি নথিভুক্ত হয়েছেন এই প্রকল্পের জন্য।


ব্যস এটুকুই! যাঁরা যাঁরা এই সুবিধা সম্পর্কে এতদিন জানতেন না তাঁরা এবার তাড়াতাড়ি আবেদন করুন ও সুবিধা পান।

Scroll to Top