ওজন কিছুতেই কমছে না? এক্সারসাইজ বা ডায়েট করেও ওজন কমানো যাচ্ছে না? কি ভুল হচ্ছে? আসুন দেখে নেওয়া যাক!

অনেকেই ওজন কমানোর জন্য জিমে (Gym) ছোটেন। কেউ কেউ বাড়িতেই যোগব্যায়াম (Yoga) অথবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ (Free Hand Exercise) করেন। অনেকে আবার ডায়েটও (Diet) করেন। কিন্তু তাও ওজন কমানো সম্ভব হয়না। অবাধ্য মেদ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কী এমন ভুল করছেন যাতে এতকিছু চেষ্টাও বিফল হচ্ছে? আসুন দেখে নিই আমরা।
জিমে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাম ঝরিয়ে বাইরে বেরোতেই দেখলেন বিভিন্ন ফাস্টফুডের (Fast-food) দোকান। কোথাও রোল, কোথাও মোমো বা বিরিয়ানি, কোথাও পিৎজা কিংবা নিদেনপক্ষে চপ সিঙ্গারার দোকান। কি! লোভ না সামলাতে পেরে কিছু একটা কিনে সঙ্গে সঙ্গে মুখে চালান তাইতো? বাড়িতে থাকলেই বিভিন্ন মিষ্টি বা বিকেল হলেই তেলেভাজা অথবা পকোড়া গোগ্রাসে খেয়ে ফেলা হয়? ডায়েট করলেও এইসব জিনিসের লোভ সামলাতে একদমই পারছেন না তাইতো! কিন্তু এভাবে কি ওজন কমাতে পারা যাবে? উত্তর আসবে ‘না’! এভাবে চলতে থাকলে আপনি বছরের পর বছর ঘাম ঝরালে বা ডায়েট করলেও ওজন কমাতে পারবেন না! তাহলে এখন উপায়? কিছু ছোট্ট নিয়ম! হ্যাঁ, কিছু ছোট্ট নিয়ম মেনে নিয়ে চললেই আপনার ওজন হুড়মুড় করে কমবে। আসুন দেখা যাক।


কমবয়সীদের ওজন নিয়ে তেমন সমস্যা দেখা দেয়না। সমস্যা শুরু হয় ৪০ বছর বয়সের পর থেকে কারণ এই বয়সে হজমক্ষমতা (Digestive System) কমতে শুরু করে এবং দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। গ্যাস-অম্বল থেকে শুরু হয়ে কোলেস্টেরল-উচ্চ রক্তচাপ-সুগার (Cholesterol-High Pressure-Sugar) এমনকি হৃদরোগের (Heart-attack) ঝুঁকিও দেখা দেয়। অনেকের মধ্যেই আরো ভয়ঙ্কর সব অসুখ দেখা দেয়। এসবের ভুক্তভোগী না হতে চাইলে কম বয়স থেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সারাজীবন তবেই ভালোভাবে জীবনধারণ সম্ভব।


কীভাবে শুরু করবেন? প্রথমেই যথেচ্ছ পরিমাণে চকোলেট (Chocolate) এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস (Cold Drinks) খাওয়া বন্ধ করতে হবে। খুব ইচ্ছে হলে সপ্তাহে একদিন চকোলেট খাওয়া যেতে পারে কিন্তু কোল্ড ড্রিঙ্কস! নৈব নৈব চ! বিকেল হলেই মনটা তেলেভাজা আর রোলের স্বাদের জন্য উতলা হয় তাইনা? বাধ সাধতে হবে মনের চাহিদাতে। তেলেভাজা-রোল-পিৎজা-বিরিয়ানি-মোমো ইত্যাদি সবধরণের ফাস্টফুডের স্বাদের জন্য জিভে টানতে হবে লাগাম। হ্যাঁ, খুব ইচ্ছে হলে মাসে একদিন যেকোনো একটা চলতে পারে। সকাল ৭টার মধ্যে বিছানা ছেড়ে রাত ১০ টার মধ্যে আবার ঘুমোনোর অভ্যেস করতেই হবে। রাত জেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বুঁদ হয়ে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। দুপুরের তুলনায় রাতে হালকা খাবার খাবেন। অতিরিক্ত তেল ও মশলাজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। রাতের খাবার সন্ধে ৮:৩০-৯:০০ টার মধ্যে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার সবসময় গরম করে খেতে হবে। দুপুরের আর রাতের খাবারের সঙ্গে অবশ্যই রাখুন স্যালাড। দুপুরের খাবারের সঙ্গে টকদই কিন্তু রাখতেই হবে। গ্রীষ্মকালে দই আর শশা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রাইতা! চিনি কিন্তু মেশাবেন না একদম। চা এবং কফি পান করুন চিনি না মিশিয়ে। চিনি কিন্তু শরীরের উপকার করেনা বরং ক্ষতিসাধন করে। যতটা সম্ভব সবুজ শাকসবজি ও ফল খান। এসবের সাথেই মনে রাখবেন যে সারাদিনে তিন থেকে চার লিটার জলপান করতেই হবে।
এসব নিয়ম মেনে চললে আপনার শরীরের মেদ যতই পুরোনো আর অবাধ্য হোক না কেন, গলতে বাধ্য হবে এবং আপনার শরীর ছেড়ে যাবেই। সুস্থ থাকতে হলে, নিরোগ হয়ে জীবনধারণ করতে হলে এই কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতেই হবে আর সাথে টুকটাক ব্যায়াম ও আছেই এবং প্রত্যহ হাঁটার অভ্যেস ও করতে হবে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Scroll to Top