নাতনীই তাঁর ধ্যান জ্ঞান, কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে এসে নাতনীর প্রসঙ্গে আবেগঘন হলেন উদিত নারায়ণ

আশি-নব্বইয়ের দশক হোক, কিংবা এই দশক। তাঁর গান কিন্তু সমান ভাবে শ্রোতার কাছে ‘পেয়ার কা বন্ধন’ হয়েই থেকে গেছে। তিনি যেন আশির বা নব্বইয়ের দশকের, প্রত্যেক প্রেমিক হৃদয়ের না বলা কথা হয়ে ফুটে উঠতেন। তিনি, উদিত নারায়ণ। মাঝে কেটে গেছে কয়েক শতক। তিনি একই রকম ভাবে আজও সকলের ‘ধড়কন’ এ আছেন। তাঁর পুত্র আদিত্য নারায়ণও এখন এক কন্যার বাবা। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই আদিত্য এবং তাঁর স্ত্রী শ্বেতা আগরওয়ালের কোল আলো করে এসছে ফুটফুটে লক্ষ্মী, ত্বিসা।

Udit Narayan

গত নভেম্বরে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো, ‘কপিল শর্মা শো’ এর দ্বিতীয় মরশুমে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সপরিবারে উদিত নারায়ণ। স্ত্রী দীপা নারায়ণ, পুত্র আদিত্য নারায়ণ এবং পুত্রবধূ শ্বেতা আগরওয়ালকে নিয়ে সেদিন অনুষ্ঠানের আসর জমে উঠেছিল। পারিবারিক আড্ডায় মেতেছিলেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কপিল শর্মাও। গানের সঙ্গে, ছোট্ট দশ মাস বয়সী নারায়ণ পরিবারের লক্ষ্মী, ত্বিসার প্রসঙ্গ যেন আড্ডার মেজাজকে আরও জমাটি করে তুলছিল।

উদিত জানান, নাতনীর সঙ্গে বাড়ির মধ্যে, তাঁরই সবচেয়ে বেশি ভাব। ঠাম্মা, মা বা বাবার তুলনায়, নাতনী আধো আধো গলায় কেবল ‘দাদা” বলে দাদুকেই খোঁজে। সঞ্চালক কপিল শর্মা দাদু নাতনীর এই মিষ্টি মধুর সম্পর্ক দেখে, উদিত নারায়ণকে রসবোধসহ একটি প্রশ্ন করে বসেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, উদিত নারায়ণ কি তাঁর নাতনীর আগমনে, তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয় গান ‘ছোট্টি সি নান্নি সি পেয়ারী সি, আয়ি কোই পরি..’ গেয়ে উদযাপন করেছিলেন? উদিত সঙ্গে সঙ্গে আবেগঘন হয়ে পড়ে জানান, এই গানটিও পর্দায় ছিল দাদু এবং তাঁর সদ্যজাত নাতনীকে কেন্দ্র করে। পর্দায় অন্যের কণ্ঠে গান গাইলেও, সেই গানই তাঁর জীবনে বাস্তব হয়ে উঠল। এছাড়াও তিনি তাঁর পুত্র আদিত্যের জন্মের আগে গেয়েছিলেন বাবা ছেলের সম্পর্কের সেই ‘আইকনিক’ গান, ‘তু মেরা দিল, তু মেরি জান’। সেই গানও তাঁর জীবনে হুবহু বাস্তবায়িত হয়।

আদিত্য আবেগী বাবার সঙ্গে আরও যোগ করেন, ত্বিসা যখন জন্মেছিলেন, অন্যরা তাঁকে দেখে আনন্দে কোলে নিতে চাইলেও, উদিত তাঁকে দেখেই প্রথমে হাততালি দিয়ে ওঠেন। নিজের আত্মজার সঙ্গে দাদুর প্রথম পরিচয়ের এই দৃশ্য, চিরকাল মনের মণিকোঠায় গেঁথে থাকবে আদিত্যের।

Aditya
Scroll to Top