পাতি লেবু, একটি অতি ছোট্ট উপকারী বন্ধু আমাদের! খাদ্যতালিকা এই বন্ধুটির উপস্থিতি ছাড়া, অসম্পূর্ণ! লেবুর গুণাগুণ নতুন করে আর বলার আর দরকার নেই! তবে জানেন কি, শুধু লেবু নয়, কামাল দেখিয়ে দিতে পারে লেবুর খোসাও! আমরা লেবুর ব্যবহার মিটে গেলে, খোসাগুলিকে জঞ্জালের সঙ্গে ফেলে দি। কিন্তু, এই খোসার গুণাগুণ শুনলে, আপনি উচ্ছিষ্ট হিসেবে সেটি ফেলে দেওয়ার মত ‘ভুল’টি, আর করবেননা!
লেবুর মধ্যে অম্লত্ব এবং ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী উপাদান থাকার দরুন, লেবু পরিষ্কারক বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘরের মেঝে, আসবাব প্রভৃতির ঔজ্জ্বল্য প্রদান করতে লেবুর জুড়ি মেলা ভার! দোকান থেকে কিনে আনা অন্যান্য পরিশোধক বস্তুর খরচ বাঁচায়, এই প্রকৃতি-বান্ধব ছোট্ট বস্তুটি।
লেবুর খোসা যে যে ভাবে আপনাকে উপকার করতে পারে –
১)লেবু এবং ভিনিগারের যুগলবন্দী-
খাদ্যতালিকায় আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, পাতি লেবুর থাকবেই। খেয়াল রাখতে হবে, পাতি লেবু খাওয়ার পর, সেই খোসা যেন ফেলে না দেওয়া হয়। কারণ এই পাতি লেবুর খোসা নামক ‘উচ্ছিষ্ট’ জিনিসটি থেকেই তৈরি করা যাবে চমৎকার জীবাণুনাশক ক্লিনার। ৩-৪ টি লেবুর খোসা ও দুই টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার, একটি বড় পাত্রে নিয়ে পাত্রটিতে জল ভর্তি করে ৩-৪ দিনের জন্য রেখে দিতে হবে। ভিনিগার এমনিতেই পরিষ্কারক হিসেবে উপযোগী, সঙ্গে লেবু দোসর! এরপর সেই জল দিয়ে ঘর, আসবাব, জানালার কাঁচ কিংবা আয়না পরিষ্কার করতে হবে। তারপর যা ফল পাবেন, তা আপনাকে চমকিত করবেই! প্রত্যেকটি জিনিস চকচকে হয়ে উঠবে, এবং জীবাণুমুক্ত হবে।
২) রান্নাঘরে লেবুর খোসার কীর্তি –
লেবুর খোসা একটি ময়লা পরিশোধক উপাদান। রান্নাঘরে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন তৈজসপত্র অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় সেগুলিতে খনিজ পদার্থ জমে ময়লা সৃষ্টি করে। লেবুর খোসার পাতলা টুকরো করে একটি জলভর্তি পাত্রে ফেলে দিন। এর ফলে লেবুর খোসাটি সেদ্ধ হয়ে যাবে, এবং তারপর সেই জল দিয়ে অপরিশোধিত তৈজসপত্রগুলিকে পরিশোধন করে নিতে হবে।
৩) ঘরের সুগন্ধি হিসেবে –
লেবুর খোসায় থাকে এসেনশিয়াল অয়েল। লেবু থেকে লেবুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে জলে ফুটিয়ে দিতে হবে ভালো করে। এরপর সেই জল ছেঁকে নিতে হবে। ব্যাস, তৈরি আপনার নিজস্ব প্রাকৃতিক ঘরোয়া সুগন্ধি। এস ভঙ্গি প্রয়োগে ঘরের পরিবেশ যেমন তরতাজা থাকবে, তেমনই থাকবেনা পোকা মাকড়ের উপদ্রব। ঘর মোছার জলের সঙ্গেও আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন।