চুল পড়া রোধে বাহবা পাবে জবা! জেনে নিন আপনার বাড়ির গাছটির গুণাগুণ

ছোট থেকে আমরা সবাই একটি বাক্যবন্ধকে আত্মিক করে এসছি। তা হল “স্বাস্থ্যই সম্পদ”। স্বাস্থ্য নামের এই সম্পদকে ভালো রাখার জন্য আমরা অনেক ধরনের চেষ্টাই করে থাকি। কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদই যে আমাদের এই সম্পদের সুস্থতার দোসর, তা আমরা অনেকেই সেভাবে জানি না। আজকাল বাজারে অনেক রকম উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধনী বেরিয়েছে। বলা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রাকৃতিক উপাদান প্রযুক্ত থাকার দরুন আমাদের ত্বক বা চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই এখনও মানুষ প্রাকৃতিক উপাদানের প্রতিই বেশি অনুরক্ত। নিম, তুলসী থেকে শুরু করে জবা আমাদের শারীরিক সুস্থতা প্রদানের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

জবা, একটি অতি সহজলভ্য প্রকৃতির উপাদান। জানেন, ওজন হ্রাস থেকে ত্বকের অকাল বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণের মত কত কাজে লাগে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি! আজ আমরা জানব, চুলের উপকারিতায় জবার ভূমিকা সম্পর্কে।

জবা গাছ একটি ভেষদ উদ্ভিদ। জবার মধ্যে থাকে এমন কিছু উপাদান, যা আমাদের জীবনে জীবনদায়ী ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। চুলের রুক্ষতা দূরীকরণ বা চুলকে সুস্থ জীবন প্রদান করায় জবার ভূমিকা অপরিসীম।

জবা ফুলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড, চুলের অন্যতম বিশেষ উপাদান কেরাটিন প্রোটিনের উপাদান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এর ফলে চুলে জেল্লা আসে। চুলের ফলিকল মজবুত হয়।

এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কীভাবে জবা ফুল ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই পদ্ধতিই এবার আলোচনা করা হবে।

প্রথম পদ্ধতি
প্রথমে দুটি জবা ফুল সংগ্রহ করুন। এবার জবা ফুল দুটি ভালো করে ধুয়ে নিন। ধোবার পর জবা ফুল দুটিকে মিক্সির সাহায্যে ভালো করে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টে একটি ডিম ফেটিয়ে মিশ্রিত করুন। মিশ্রণটি এবার আপনার চুলের স্কাল্পের আনাচে কানাচে ভালো করে লাগিয়ে নিন। কুড়ি মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা এইভাবে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে মাথাটি ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করলেই দেখবেন সুফল পাবেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি – এই ক্ষেত্রে দুটি জবা ফুল এবং দুটি জবা পাতা সংগ্রহ করতে হবে। একসঙ্গে চারটি উপাদান মিশ্রিত করতে হবে। এই পেস্টের সঙ্গে হেনা পাওডার যোগ করে মাথায় এক ঘন্টা মত লাগিয়ে রেখে দিন। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।

[বি দ্রঃ – সকলের জন্য সকল জিনিস উপযুক্ত হয় না। তাই ত্বকে বা চুলে প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।]

Scroll to Top