প্রথম দর্শনে প্রেমে ফেললেও, গোলাপের গুণেও কিন্তু আপনি হবেন মুগ্ধ

গোলাপ, এই ফুলের নামটি শুনলেই যেন মনের ভেতর বসন্ত নেমে আসে। সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে এই ফুল। বিভিন্ন রঙের গোলাপ আবার সম্পর্কের বিভিন্ন দিককে ইঙ্গিত করে থাকে। নতুন প্রেমে পড়লে, কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে একটুকরো মুহূর্ত যাপনে গোলাপ হয়ে ওঠে প্রেমের দোসর। কিন্তু জানেন কি, শুধু রূপে নয়, গুণ দিয়েও গোলাপ জয় করে নিতে পারে আপনার হৃদয়?

আসলে গোলাপ ফুলে রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যা মূলত আপনার ত্বককে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। গোলাপ জল ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু বাজারে যেসকল গোলাপ জল পাওয়া যায়, তাতে রাসায়নিক পদার্থ বেশি থাকার দরুন, তা প্রাকৃতিক উপাদান অনেকাংশে হারিয়ে ফেলে। সেই কারণে বাড়িতে বানিয়ে, ত্বক পরিচর্যা করলে সহজে সুফল পাওয়া যায়।

গোলাপ জল বানানোর প্রক্রিয়া:
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক গোলাপ নিন। ডিসটিল্ড ওয়াটার এবং স্প্রে বোতল কাছে সঙ্গে রাখুন। গোলাপ ফুল থেকে পাপড়িগুলো ছড়িয়ে গরম জলে ধুয়ে নিন। যাতে গোলাপের পাপড়ির কৃত্রিমতা ধুয়ে যায়। এরপর একটি বড় পাত্রে ডিসটিল্ড ওয়াটারের মধ্যে পাপড়িগুলোকে নিমজ্জিত করুন ভালো করে। পাত্রটিকে ঢাকা দিয়ে হালকা আঁচে গরম হতে দিন। আধ ঘন্টা মত অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না জলের রং হালকা গোলাপি হয়। তারপর সেই জল ছেঁকে নিয়ে, পাপড়িগুলো আলাদা করে নিন। এরপর কিছুক্ষণ মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন। কাছের শিশিতে ভরে ঠান্ডা জায়গায় রাখুন। এরপর আপনার পছন্দ মত যেকোনও পাত্রে রেখেই আপনি ব্যবহার করার সুযোগ করে নিন।

গোলাপ জলের উপকারিতা –
গোলাপ জলে উপকারী আন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে সুস্থতা প্রদান করে। ত্বকের আর্দ্রতা, ক্লান্তিভাব কমাতে গোলাপ জলের জুড়ি মেলা ভার। অকাল বার্ধক্য রোধক। মেকাপ করার আগে গোলাপ জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে মুখ উজ্জ্বল থাকবে। ব্রণর সমস্যা দূরীকরণে গোলাপ অদ্বিতীয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালে উঠে যদি ব্যবহার করেন, ফল পাবেন হাতে নাতে।

Scroll to Top