পশ্চিমবঙ্গে ডিএ এর দাবিতে সরকারি অফিস স্কুল কলেজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি, হাসপাতালে কর্ম বিরতির ডাক!!

পশ্চিমবঙ্গে অর্থাৎ রাজ্য সরকারের আওতায় আসা সমস্ত কর্মক্ষেত্রে ঠিকমতো Dearness Allowance অর্থাৎ ডিএ দেওয়া হচ্ছে না এই দাবিতে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরবর্তীকালে সেটি স্টেট এডমিনেস্টট্রিভ ট্রাইবুলান অর্থাৎ SAT এ মামলাটি চলে এবং পরপর তিনবার রাজ্য সরকারকে AICPI বা কেন্দ্রীয় মূল্য বৃদ্ধি সূচক মেনে ডিএ (DA) দেওয়ার নির্দেশ দেয়! কিন্তু এত পর বলা সত্বেও রাজ্য সরকার সেটি গ্রাহ্য করেনা এবং উচ্চ আদালতে আবেদন জানায়। বর্তমানে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রয়েছে এবং এরই মধ্যে গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে আন্দোলনের রাস্তায় যেতে চাইছে মোট বারোটি কর্মী সংগঠন সংস্থা!


গত ২৭ শে জানুয়ারি গণছুটির পরে আজকে আবার বকেয়া ডিএর দাবিতে অর্ধদিবস কবে বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত কর্মকে অচলায়তনে নিয়ে যেতে চায়ছেন সরকারি কর্মীরা! আর তাই আজ দুপুর দুটোর পর থেকে কোন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, অফিসার কাজ করবেন না এবং সমস্ত রাজ্য সরকারি অফিস স্কুল-কলেজ ও স্বাস্থ্য দপ্তর বন্ধ থাকবে! তবে হ্যাঁ অবশ্যই জরুরী পরিষেবার জন্য তারা সব সময় থাকবেন।


আন্দোলনকারীদের যখন জিজ্ঞেস করা হয় যে আপনাদের এই আন্দোলনের জন্য জরুরি অবস্থায় বা বিপদে পড়লে কোনরকম সমস্যা হবে না তো? তখন তাঁরা জানান যে, সমস্ত দায়িত্বে থাকা নার্স ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এখানে যৌথভাবে আসতে বাধ্য হলেও জরুরি অবস্থায় যদি কখনো দেখা দেয় সেই সমস্যা আমরা বিঘ্নিত করবো না। যে সমস্ত কর্মচারীরা স্বাস্থ্য ঠিক তাই বিশেষ করে যুক্ত রয়েছেন তাদের অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টার জন্য এই কর্মবিরোধীতে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। বকেয়া ডিএ রয়েছে ৩৮ শতাংশ, সেটি আমাদের প্রাপ্য ও আমাদের অধিকার। সেই ডিএ পাওয়ার জন্যই আমাদের এই আন্দোলন!


এবার বকেয়া ডিএ নিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন সরকারি কর্মচারীরা তাও পঞ্চায়েত ভোটের আগে! এখন শেষ হতে রাজ্য সরকার বা উচ্চ আদালত কী করে সেটিই দেখার!


গত ২৭ শে জানুয়ারি থেকে কলকাতার রাস্তায় একটানা অবস্থান করছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা, যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন যে তাঁরা কেউই সরকারি কর্মী নন! তবে আজকের এই কর্মবিরতির কথা শুনে যে সবাই একটু হলেও ঘাবড়ে গেছেন সেটা বলাই বাহুল্য! এইভাবে যদি লাগাতার বিরতি চলতে থাকে বিশেষ করে ভোটের আগে এরকম চলতে থাকলে রাজ্যে স্বাভাবিক কর্মের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে এবং ঠিক এই সুযোগটাই নিতে চাইছেন সরকারি কর্মচারীরা যদিও রাজ্য সরকার জানিয়েছেন যে ডিএ বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের আলোচনার বিষয়।

Scroll to Top