ব্লাড সুগার কমাতে কালোজামের তুলনা নেই। কী জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা?

জাম বাংলার বাজারে খুব বেশিদিন থাকেনা। আম জাম লিচু কাঠাল – এই হলো গরমের দোসর। জামের কষা ভাবের জন্য অনেকেই পছন্দ করেন না এই ফলটিকে। তবে এর গুণাগুণ জানলে হয়তো খাবেন অনেকেই। হ্যাঁ জামের বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা অনেক উপকার করে আমাদের। আসুন জানা যাক পুষ্টিবিদরা কী বলছেন?

মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণ করে:
মধুমেহ অর্থাৎ সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে জামের ভূমিকার শেষ নেই। জামের বীজে থাকে জ্যাম্বোলিন এবং জ্যাম্বোসাইন৷ এই দুই উপাদানের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে৷ পাশাপাশি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়৷

পেটের অসুখ সারায়:
পেটের রোগে কমবেশি সবাইকে ভুগতে হয় আর এর থেকে বাঁচাবে জামের বীজ। বীজ ছাড়াও জামের শাঁস ও খোসা ফাইবারে সমৃদ্ধ৷ ফলে জামের প্রভাবে পরিপাক ক্রিয়া ভাল হয়৷ আলসার-সহ ক্ষুদ্রান্তের অন্যান্য সমস্যায় জামের বীজ ব্যবহৃত হয় আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপাদান হিসেবে৷

হাইপারটেনশন সারাতে সাহায্য করে:
আজকাল স্ট্রেসের যুগে বেশিরভাগ মানুষই এই অসুখে ভুগছেন। এই অসুখেও জাম এবং এর বীজ কার্যকরী। জামে ফ্ল্যাভোনোয়েডস এবং ফেনোলিক যৌগর উপস্থিতি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে৷

ওজন কমায়:
ওজন কমাতে চাইলে ইচ্ছেমতো জাম খান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ফল বিশেষ ফলপ্রসূ।

বিটনুন মাখানো জামের স্বাদ অতুলনীয়। এর বীজও কিন্তু খাওয়া যায় নানাভাবে।

কিভাবে খাবেন?
জামের বীজ গুঁড়ো করে খাওয়া যায় জলের সঙ্গে মিশিয়ে। স্মুদি বা অন্য খাবারের উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এই গুঁড়ো। জাম খাওয়ার পর এর বীজ ফেলে না দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন৷ তার পর রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এয়ারটাইট কৌটোতে রেখে দিলে বহুদিন ব্যবহার করতে পারবেন ৷

Scroll to Top