প্রাতঃরাশে ওটস খাচ্ছেন? জেনে নিন গুণাগুণ

ওটস, একটি পুষ্টিকর এবং শরীর-বান্ধব খাদ্য! আপনার শরীরকে যেকোন অসংলগ্নতার হাত থেকে রক্ষা করবে এই ওটস। অনেকেই তাঁদের প্রাতরাশে বা সন্ধ্যার খাবারে ওটস গ্রহণ করে থাকেন। ওটস আমাদের, একটি স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ-সম্পন্ন দোসর! যা আমাদের ফাইবার, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন দ্বারা সমৃদ্ধ করে, সুস্থ সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।
ওটসের উপকারিতার কিছু বৈশিষ্ট্য, আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল –

ফাইবার –
এটি দ্রবণীয় ফাইবার এবং অদ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, অর্থাৎ যে কোলেস্টেরল আমাদের রক্তের পক্ষে ক্ষতিকারক। এর ফলে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। এটি আমাদের অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং গ্লুকোজ শোষণ কমায়।

ফ্যাটি অ্যাসিড-
ওটসে ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ খুবই হালকা ভাবে থাকে। তাই এটি কম চর্বিসমৃদ্ধ হয়। সে কারনে বেশিরভাগ মানুষই ওজন হ্রাস করার জন্য দিনের যে কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে, ওটস গ্রহণকে আদর্শ মনে করে থাকেন।

ভিটামিন –
ওটস ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, এবং আপনার হজম ও প্রস্রাবের কাজকে নিয়মিত এবং সমস্যামুক্ত করে। এটি ডিএনএ, প্রোটিন এবং কোষের ঝিল্লিকে আপনার বিপাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করে।

অন্ত্র পরিষ্কারে সহায়তা-
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য বিপাক-সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে ওটস আপনাকে সেই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে, কারণ এটি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই এটি শরীরের অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ-
যারা ডায়াবেটিস-রোগী, তাঁরা বেশিরভাগই তাঁদের খাদ্য-তালিকায়, ওটসকে অন্তর্ভুক্ত করতে স্বচ্ছন্দ হন। ওটসে উচ্চ ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা শরীরের শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে।

হার্টের সমস্যা প্রতিরোধক –
ওটস আপনার হৃদয়-বান্ধবও বটে । হার্টকে রক্ষা করার জন্য সেরা বিকল্প হল আপনার খাদ্যে, ওটস অন্তর্ভুক্ত করা। ওটসে উপস্থিত দ্রবণীয় ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ওটসের মধ্যে কিছু উদ্ভিজ্জ উপাদান রয়েছে, যা ব্যক্তিকে হৃদরোগ থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়।

উজ্জ্বল ত্বক –
ত্বকের যত্ন কে না নিতে চান! জানেন কি, ওটস খেলে আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে! ওটস যেকোন ত্বকের বিকৃতির হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করবে, এবং একটি সুস্থ উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করবে। বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা, যেমন চুলকানি, প্রদাহ, জ্বালা থেকে ওটস আপনাকে উপশম দেয়, এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় –
ক্যান্সার একটি এমন ব্যাধি, যার নাম শুনলেই মানুষ ভীত হয়ে পড়েন। কিন্তু জানেন কি, ওটস খাওয়ার ফলে আপনার স্তন, প্রোস্টেস্ট এবং ডিম্বাশয়ের মত হরমোনজনিত ক্যান্সারের ঝুঁকির প্রবণতা রোধ পায়! হ্যাঁ, এটি সত্য! ওটসে লিগনান নামক যৌগ থাকে, যা আপনাকে ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে রক্ষা করে।

সতর্কতা অবলম্বন –
নিবন্ধে উল্লিখিত আলোচনা, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে। এটি কোন পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ হিসাবে নেওয়া উচিত নয়। তাই, কোনো ফিটনেস ট্রেনার বা চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে, আপনার পথে এগোতে পারেন।

Scroll to Top