Parenting Tips: বাচ্চাদের ফোনের নেশা থেকে কি উপায়ে রাখবেন দূরে? জেনে নিন কিছু টিপস।

ধীরে ধীরে আমরা যত ডিজিটালাইজেনের দিকে যাচ্ছি, ততই বাড়ছে মোবাইল এবং কম্পিউটারের প্রতি আসক্তি।এই আসক্তি দেখা যাচ্ছে শিশুদের মধ্যেও। বিশেষত Lock Down এর সময় থেকে Online Class এর দৌলতে বেড়েছে এই আসক্তি। কিন্তু বাচ্চারা এমন ভাবে ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে গেলে তো সমস্যা। কিভাবে কমাবেন এই আসক্তি? আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু টিপস এই সমস্যা দূরীকরণে।

এখনকার বেশির ভাগ শিশু বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করছে স্মার্টফোনের ভার্চুয়াল ‌বন্ধুত্বেই। তারা আর একসাথে খেলাধুলা করতে কিংবা একসাথে গল্প করেনা। ফোনটাই হয়ে উঠেছে তাদের ছোটো জগৎ। সমাজ ও সামাজিকতা— ধীরে ধীরে এই দুই ধারণা থেকেই অনেকটা দূরে চলে যাচ্ছে খুদেরা। কেউ অজান্তেই, কেউ আবার জেনেবুঝেই আন্তর্জালে গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেদের।

অন্য দিকে, মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের শারীরিক কুপ্রভাবগুলিও অনস্বীকার্য। অত্যধিক মোবাইল-আসক্তির কারণে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, চোখের সমস্যা বৃদ্ধির মতো নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা। খোলা জায়গায় দৌড়নো, খেলার অভ্যাস হারিয়ে কায়িক পরিশ্রমহীন অলস জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। এর থেকে বাঁচার উপায় কী তাহলে? আসুন জানা যাক।

১) একেবারে হাত থেকে ফোন না নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিন। তবে তখন শিশু স্মার্ট ফোনে কী করছে বা কী দেখছে, সে দিকে নজর রাখতে হবে। খেলাধুলো, নাচ, গান যে বিষয়ে শিশুর আগ্রহ আছে, সে সব বিষয়ে মন দিতে উৎসাহী করে তুলুন খুদেকে।

২) শিশু যদি অনলাইনে ক্লাস করে, তা হলে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে সে কী করছে, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়া স্মার্টফোন থেকে আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে Parental Control অন রাখুন।

৩) শিশুর স্মার্টফোনের আসক্তি কাটাতে আপনাকে ওর জন্য সময় বার করে নিতে হবে। ওর জন্য দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন। তখন শিশুর মনের কথা শুনুন, শিশুর সঙ্গে খেলুন, ওর সঙ্গে গল্প করুন। নিজেও ফোনের ব্যবহার কমান। বাচ্চারা যা দেখে তাই কিন্তু শেখে।

৪) ঘুমোনোর ঘণ্টা খানেক আগে শিশুকে ফোন, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে মানা করুন। প্রয়োজনে জোর করুন। কারণ এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

Scroll to Top