আঠারো বছর বয়সের আগে নয় মোবাইল! ধরা পড়লেই শাস্তি! এমনটাই নির্দেশ দিলো সরকার

বর্তমান যুগে ছোটো থেকে বড়ো সবাই ফোনে মজে! বিশেষ করে ছোটোদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। প্রত্যেকেই হয়ে ওঠে টেকস্যাভি (Tech savvy)! কিন্তু এত বেশি পরিমাণে ফোন অর্থাৎ মোবাইলের নেশা এক এক সময় বিপদজনক হয়ে উঠছে! বিশেষত ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য কারণ তাদের বোঝার ক্ষমতা অনেক কম থাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থেকে! বিপদের সম্মুখীন হয় তারা। সবদিক ভেবেচিন্তেই এবার সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশ যা না মানলেই হবে কঠিন শাস্তি! এই নির্দেশ জারির পর থেকে তাই দেশজুড়ে শোরগোল পরে গেছে। এই নির্দেশ কার্যকরী এখনো হয়নি যদিও তবে হলে কিরকম হতে পারে সেটাই ভাবার।


বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়েছিলো মানুষের কথা বলার সুবিধার জন্য কারণ মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের আগে মানুষকে এক জায়গায় দাঁড়িয়েই কথা বলতে হতো। কিন্তু বর্তমানে শুধু কথা বলাতেই মোবাইল ফোন আটকে নেই! এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই হয় বিভিন্ন সুবিধা যেমন বিল জমা দেওয়া, টাকা পাঠানো, পরীক্ষার ফর্ম ফিল-আপ ইত্যাদি। কিন্তু ছোটোদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা মোবাইল ফোন পেলেই বিভিন্ন ধরনের গেমে (Game) মজে যায়। খেলার মাঠ ভুলে সবসময় ভার্চুয়াল দুনিয়ার (Virtual World) বিভিন্ন গেমস্-এ তারা এক্সপার্ট (Expert) হয়ে উঠছে এবং এই গেমস্-এ দিনের বেশিরভাগ সময়টাই তারা ব্যয় করে ফেলছে! এমনকি ভার্চুয়াল দুনিয়ার (Virtual World) এই গেমস্-গুলিতে হেরে গেলে অনেকে হিংস্র (Ferocious) হয়ে উঠছে ভার্চুয়াল জগতে এবং প্রকৃত জগতেও। শুধু গেমস্-ই নয়, এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেসব সিরিজ (Series) আজকাল দেখা যায় সেগুলি যে আসল নয়, শুধুই অভিনয়; সেসব না বুঝে অনেকে সেটিকে প্রকৃত জীবন (Real Life) ভেবে নিয়ে সুইসাইডও (Suicide) করছে! আর এসবই হচ্ছে বেশিরভাগ ১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কারণ তাদের বোধ-বুদ্ধি একজন প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে অনেকটাই কম!
মোবাইল ফোনের এই নেশা বিগত লকডাউনের (Lockdown) সময় থেকে বেশি বেড়েছে কারণ সেই সময় সমস্ত পড়াশোনা অনলাইনেই হয়েছে, সেসময় উপায় না থাকলেও বর্তমানেও এই নেশা বেড়েই চলেছে। একপ্রকার আসক্তিতে (Addiction) পরিণত হয়েছে এই নেশা! এই বয়সীরা বাড়ির কথাও শোনে না ও অবাধ্যতা তাদের অভ্যেস (Habit) হয়ে গেছে। শুধু গেমে বা সিরিজেই থেমে নেই তারা বরং বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন চ্যাটিং গ্রূপে (Chatting Group) সময় কাটানো, মজার ভিডিও দেখা, এমনকি বিভিন্ন এডাল্ট মুভি (Adult Movie) বা এডাল্ট গেমিং সাইটেও (Adult Gaming Site) তাদের দেখা মিলছে। এসব ওয়েবসাইটের (Website) বিভিন্ন সিরিজ এমনই ভাবে তৈরি হয়েছে যা বাচ্চাদের দেখার জন্য নয়! অনেক সিরিজেই দেখা যায় ‘১৮ বছরের কমবয়সীরা দেখবেন না’ (Do Not Watch Under The Age of 18) এই সতর্কতা দেওয়া থাকেই তবু এগুলি তারা দেখছে ও এরফলে পরবর্তীকালে তারা বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক (Criminal Activity)কাজে লিপ্ত হতে পারে এবং অনেকে সত্যিই ভুল কাজ করে ফেলছে যা গর্হিত অপরাধ!


এসব ভাবনাচিন্তা মাথায় রেখেই সরকারের এই নির্দেশ এবং তা খুব শীঘ্রই কার্যকরী হবে। যদিও এই সিদ্ধান্তে অনেকেই খুশি না তবু বাবা-মায়েরা প্রকৃতঅর্থেই খুশি। যদিও এই নিয়ম এই দেশে বা রাজ্যে নয়, মহারাষ্ট্রতে (Maharashtra) জারি হতে চলেছে। কবে আমাদের রাজ্যে এই নিয়ম পরবর্তীতে জারি হয় সেটাই এখন দেখার!

Scroll to Top