Yoga for All: এই তিনটি যোগাসন নিয়মিত করলে আট থেকে আশি সকলেই থাকবেন সুস্থ।

সুস্থ থাকতে গেলে দরকার নিয়মিত সময়মাফিক খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা। তার পরেও নিরোগ শরীর রাখাটাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আসলে বেশিরভাগ মানুষই শরীরচর্চা করেন না নিয়মিত। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— সুস্থ জীবনযাপন করতে শরীরচর্চার ভূমিকা অনবদ্য।

চিকিৎসকেরা বলেন যে শিশুকাল থেকে যদি বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত করা যায় নিয়মিত ব্যায়াম তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে। আবার বয়স অনুযায়ী অনেক সময় শরীরচর্চার ধরন বদলে যায়। তবে কিছু শরীরচর্চা আছে, যেগুলি সব বয়সেই করা যায়। রইল তেমন কয়েকটি শরীরচর্চার খোঁজ।

ত্বড়াসন:

এই যোগাটি করার জন্য প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রেখে। শ্বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখুন। দুই হাত উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যান। এ বার আঙুল দিয়ে হাত দুটো জড়ান। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাতদুটো নিয়ে যান। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি থেকে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখুন। এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন।

পশ্চিমোত্তাসন:

এটি হয়তো প্রথমে কঠিন লাগতে পারে তবে নিয়মিত অভ্যাসে সহজ হবে। এই যোগার জন্য প্রথমে সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। হাতদুটো গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এরপর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে হাতদুটো সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দুটো নামিয়ে নিয়ে পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। মানসিক উদ্বেগ কমাবে এই ব্যায়াম।

প্রথম দিকে হয়তো হাঁটুতে মাথা রাখা একটু বেশি কঠিন হবে। প্রথমদিকে হাঁটুর ওপর বালিশ রেখে করতে পারেন এই ব্যায়াম।

ভুজঙ্গাসন:

এই ব্যায়ামটির জন্য উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। দুই হাত ভাঁজ করে বুকের দু’পাশে রাখুন। এ বার শ্বাস নিতে নিতে মাথা এবং বুক মাটি থেকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। মাথা এবং ঘাড়ও যতটা সম্ভব পিছন দিকে হেলিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন কোমরের নীচ থেকে বাকি অংশ যেন মাটি স্পর্শ করে থাকে। এই অবস্থায় থাকুন ১০ সেকেন্ড। তার পর আবার আগের ভঙ্গিতে ফিরে আসুন। খুব বেশি হলে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে পারেন এই ব্যায়াম।

Scroll to Top