Home Remedies for Good Hair: বাড়িতেই কিভাবে চুলের যত্ন করলে চুল হবে স্বাস্থ্যে ভরা তা জেনে নিন।

চুলের সমস্যা বর্তমানে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে সকলের। চুল পড়া থেকে শুরু করে অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া অবধি সবকিছুই সমস্যার সৃষ্টি করছে। নামীদামী ব্রান্ডের শ্যাম্পু বা তেল ব্যবহার করেও বিশেষ কিছু লাভ হচ্ছেনা।

অনেকে তো পার্লারে গিয়ে চুলের বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট করান কিন্তু তাতে লাভ না, ক্ষতিটাই হয় বেশি। কিছুতেই চুলের সমস্যা দূর হয়না। তবে আজ আমাদের কাছে থাকা কিছু টোটকা নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য যাতে চুলের সমস্যা দূর হবে সহজেই। আসুন দেখি।

নারকেল তেল ও মধুর মাস্ক:
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চুলের জেল্লা করতে মধু ভীষণ উপকারী। তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। ফল অবশ্যই পাবেন। একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ উষ্ণ নারকেল তেল এবং ১ টেবিল চামচ মধু নিন। এবারে এই মিশ্রণটি ভাল করে গুলে নিন। এই হেয়ার মিশ্রণটি মাথার ত্বকের সাথে আপনার চুলেও লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। আরও ভাল ফলাফলের জন্য উষ্ণ জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন।

নারকেল তেল এবং লেবুর মাস্ক:


লেবুতে আছে ভিটামিন-সি। যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তা ছাড়া লেবুর অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ তৈলাক্ত চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে। এই মাস্কটি তৈরি করতে একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি শুকনো চুলে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ফল পাবেন তিনদিনের মধ্যে।

নারকেল তেল ও কলার মাস্ক:


ঘরোয়া উপায়ে সহজ হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যায় নারকেল এবং কলা দিয়ে। কলা চুলকে নরম করে। চুলের ডগা ফাটা রোধ করে। এই মাস্কের জন্য মিক্সারে অর্ধেক কলা এবং ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর একটি পাত্রে নিয়ে নিন। মিশ্রণটি আঙুলে নিয়ে ভাল করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। মিনিট ২০ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেল তেল এবং ডিমের কুসুমের মাস্ক:


নাক সিটকানো হয়ে গেছে নিশ্চয়ই? তাহলে এবার শুনুন।আপনার চুল যদি পাতলা হয়, তা হলে এই মাস্কটি আপনার জন্য উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। যা চুলের ক্ষতি রোধ করে। একটি পাত্রে একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান। ভাল করে গুলে নিয়ে ভেজা চুলে এই মাস্কটি লাগান। এর পর ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে ফেলুন। কোনো কম ক্ষার যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার ও করতে পারেন।

আমলকি, শিকাকাই এবং নারকেল তেলের মাস্ক:


সবশেষে আসি এই পদ্ধতিতে। আমলকি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এর মতো আর কেউ নেই। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে আমলকি। অন্য দিকে, শিকাকাই চুলের ডগা ফাটা রোধ করে গোড়াকে মজবুত করে। নারকেল তেলের সঙ্গে এই দু’টিকে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হবে এমন মাস্ক, যা আমাদের চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগাবে। ১ টেবিল চামচ আমলকির রস এবং শিকাকাই পাউডারের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মেশান। সব এক সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। এই মাস্কটি চুলে ম্যাসাজ করে সারা রাত রাখুন। পর দিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন চুলের স্বাস্থ্য কাকে বলে!

Scroll to Top